কাঞ্চনকে দেখেই গ্রামের মহিলারা রে-রে করে ওঠেন। যা নজর এড়ায়নি শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদের। বিপদ আঁচ করে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল বিধায়ককে হুড খোলা গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা যায়, সাংসদের নির্দেশের পরই কাঞ্চন মল্লিক দলের প্রচার গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছেন। এরপর দলীয় কর্মীর বাইকের পিছনে বসে এলাকা ছাড়েন।
কেন কাঞ্চনকে প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হল? পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'উনি (কাঞ্চন মল্লিক) মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন কি হননি, আমি জানি না। আমি ওঁকে নিয়ে আগেও প্রচার করেছি। আমার সঙ্গে যখন প্রচারে বেরোচ্ছেন তখন গ্রামের মহিলারা কিন্তু ভীষণ রিয়্যাক্ট করছেন। তাই আমি ওঁকে আগেই বলে দিয়েছিলাম গ্রামে এসো না।'
কল্যাণের সাফ কথা, 'শুধু প্রচারেই বা বিধায়ক কেন থাকছেন আমার সঙ্গে? উনি তো এক জন বিধায়ক, তিনি তো নিজেও প্রচার করতে পারেন, কিন্তু সেটা তো করছেন না। আমি ব্যক্তিবিশেষের জন্য নই, আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। এক জনের সুখের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না।'
এ প্রসঙ্গে কাঞ্চন মল্লিকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
উল্লেখ্য, পিংকির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কয়েক মাস আগেই ফের বিয়ে করেছেন অভিনেতা তথা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। যা নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে ইঙ্গিত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে গ্রামের মহিলাদের ক্ষোভের কারণ মুখে বলেননি বিদায়ী সাংসদ।