ফের দুর্ঘটনা নয়ানজুলিতে। স্কুলে যাওয়ার পথে পুল কার উল্টে গুরতর জখম তিন পড়ুয়া-সহ গাড়ির চালক। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দু'জনকে গ্রিন করিডরের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে পিজি হাসপাতালে। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য শহরে গ্রিন করিডর প্রচলিত হলেও, প্রথমবারের জন্য কোনও জেলা থেকেগ্রিন করিডরের মাধ্যমে সংকটজনক রোগী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল। যদিও এখনও তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
ঠিক কী ঘটেছে?
ঘটনাটি ঘটে দিল্লি রোডে পোলবা থানার কামদেবপুর এলাকায়। দিন ভোরে শ্রীরামপুর থেকে একটি গাড়িতে ১৫ জন ক্ষুদে পড়ুয়াদের নিয়ে চূঁচুড়ার খাদিনা মোড়ের কাছে টেকনো ইন্ডিয়া স্কুলে আসছিল। উপস্থিত সকলেই প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। মাঝরাস্তায় দিল্লিরোডে পোলবা থানার কামদেবপুর এলাকায় একটি লরীর পেছনে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে প্রায় বিশফুট নীচে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনার পরপরই এলাকার লোকজন দৌড়ে আসেন ঘটনাস্থলে। দুর্ঘটনাগ্রস্থদের নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার করে চূঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখানেই উল্টে যায় গাড়িটি। ছবি- উত্তম দত্ত
ভয়াবহ এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। ছুটে আসেন স্কুলের প্রিন্সিপাল ও অন্যান্য অফিশিয়াল স্টাফেরা। আসেন অভিভাবকরাও। আহতরা হলেন ঋষভ সিং, দিব্যাংশ ভকত, অমরজিৎ সাহা। প্রথমে তাঁদের ইমামবাড়া হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট কে স্থানান্তরিত করা হলেও অবস্থা অবনতির কারণে ঋষভ সিং, দিব্যাংশ ভকতকে কলকাতায় পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গ্রীন করিডোরের মাধ্যমে তাঁদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। উল্লেখ্য, ঋষভ সিং শ্রীরামপুর পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সন্তোষ সিংয়ের ছেলে। অন্যদিকে, ড্রাইভার পবিত্র দাসকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিন দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন আই জি ট্রাফিক তন্ময় রায় চৌধুরী। চূঁচুড়া হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান চূঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার এবং হুগলী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
হাসপাতালে আঘতদের দেখতে যান লকেট চট্টোপাধ্যায়। ছবি- উত্তম দত্ত
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে আই জি ট্রাফিক (পরিবহন ও সুরক্ষা) তন্ময় রায় চৌধুরী বলেন, "গাড়িটির প্রচন্ড স্পিড ছিলো। এটাই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া গাড়িটির ফিটনেসও সমস্যা ছিল।"