লটারি কেটে কোটিপতি, জেতা টাকা দিয়ে তারা মায়ের মন্দির বানাচ্ছেন গুড়াপের সাধক

মন্দিরের পাশে দূর দূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য একটি থাকার আশ্রমও তৈরি হচ্ছে।

মন্দিরের পাশে দূর দূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য একটি থাকার আশ্রমও তৈরি হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Hooghly: Farmer won rs 1 crore lottery, buliding Goddess Kali temple with prize money

সাধকের জীবনে লটারি লাগে এবং সেই লটারি টাকা দিয়ে তৈরি করছেন তারা মায়ের মন্দির ও আশ্রম। ছবি- উত্তম দত্ত

লটারি টিকিটের পুরস্কার দিয়ে মন্দির তৈরি করছেন হুগলির গুড়াপ পঞ্চায়েতের বীরপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা কলেজ ইস্কু। বীরপাড়া অঞ্চলে একটি ছোট্ট কুঁড়েঘরে তিনি বসবাস করতেন। ছোট থেকেই তারা মায়ের ভক্ত তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা সাধক বলে চেনে তাঁকে। সাধকের জীবনে লটারি লাগে এবং সেই লটারি টাকা দিয়ে তৈরি করছেন তারা মায়ের মন্দির ও আশ্রম।

Advertisment

হুগলির গুড়াপ পঞ্চায়েতের এক হতদরিদ্র সাধক হলেন কলেজ ইস্কু। বীরপুরের নিজের বাড়িতে ছোট থেকেই তারা মায়ের সাধনা করতেন তিনি। কাজবাজ ও সংসার চালানোর জন্য মাঠে চাষের কাজ করতেন। চাষের কাজের পর অবসর সময় তার কাটত মায়ের আরাধনায়। তাঁর অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল তারা মায়ের জন্য একটি মন্দির বানাবেন। কিন্তু যেখানে দারিদ্র্য দুবেলা অন্ন জোগান দিতে হিমশিম খায় সেখানে আকাশ ছোঁয়া মন্দির বানানো শুধুমাত্র স্বপ্নই ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করলেন তিনি নিজেই। লটারির টিকিট কেটে প্রথম পুরস্কার স্বরূপ কোটি টাকা পান তিনি। সেই টাকা দিয়ে তৈরি হচ্ছে মায়ের মন্দির।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সাধক নিজের বাড়িতে তারা মায়ের পূজা করেন। পুজোর বিশেষ পার্বণে স্থানীয় মানুষদের নিমন্ত্রণ থাকত সাধকের বাড়িতে। স্থানীয়রা জানান, তাঁরা দেখেছেন কীভাবে প্রতিদিন চাষবাসের কাজ করেও তারা মায়ের পূজার পার্বণগুলি নিষ্ঠাভাবে পালন করতেন তিনি। তিনি তাঁর অল্প সামর্থের মধ্যেই যতটা সম্ভব করে পাড়া-প্রতিবেশী স্থানীয় মানুষদের ভোগ ও বিতরণ করতেন। স্থানীয়রা সাধকের মুখেই জানতে পারেন ডিয়ার লটারিতে এক কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি। তারপরের দিন থেকেই সাধকের বাড়িতে শুরু হয় মন্দির তৈরীর কাজ। স্থানীয় মানুষরা আরও জানান, তাঁরা খুবই খুশি এই মন্দির তৈরি হচ্ছে বলে। মন্দির হলে স্থানীয় মানুষরাও পূজা-পার্বণে মন্দিরে আসতে পারবেন।

আরও পড়ুন বর্ধমানে মিছিলের নামে কলা ‘লুঠ’, বামেদের চিড়িয়াখানার ‘জীব’ বলল তৃণমূল

Advertisment

সাধক কলেজ ইস্কু জানান, লটারি টিকিট তিনি কেটেছিলেন মাসখানেক আগে। তারপরে তিনি জানতে পারেন তিনি প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। মায়ের নাম করেই লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি। তাই পুরস্কারের টাকা দিয়ে তিনি মায়ের মন্দির তৈরি করবেন। মন্দির তৈরির কাজ এখন চলছে জোরকদমে। মন্দিরের পাশে দূর দূরান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য একটি থাকার আশ্রমও তৈরি হচ্ছে।