হুগলির কোন্নগরের হীরালাল পাল কলেজে অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনায় তৎপর হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিগৃহীত অধ্যাপককে ফোন করে ‘আশ্বস্ত’ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে ‘দুঃখপ্রকাশ’ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এ ঘটনায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ওই কলেজে যান বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনিও ‘দুঃখপ্রকাশ’ করেন এ ঘটনায়। অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে আজ কলেজে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধ্যাপকরা।
আরও পড়ুন: হুগলির কলেজে অধ্যাপককে ‘বেধড়ক মার’ টিএমসিপির, ধৃত ২
মুখ্যমন্ত্রীর ফোন প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে ‘নিগৃহীত’ অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। উনি ফোনে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। উনি বলেছেন, আপনি চিন্তা করবেন না, আমি পাশে আছি। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে’’। উল্লেখ্য, সুব্রতবাবুকে মারধরের অভিযোগে সন্দীপ পাল ও বিজয় সরকার নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই দু’জন টিএমসিপির কেউ নয় বলে দাবি করেছেন কলেজে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভ মাইতি। এ প্রসঙ্গে সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘ওরা ইউনিয়নের সঙ্গে থাকে। ওদের কখনও ক্লাসে দেখিনি’’। এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ অধ্যাপকরা ক্লাস বয়কট করেছেন বলে জানিয়েছেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মোদী সরকারকে বিঁধে নুসরতের টুইট, পাল্টা দিলীপ
অধ্যাপক নিগ্রহের ঘটনার পর আজ কলেজে যান তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেন, ‘‘খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন, ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। পুলিশ দু’জনকে ধরেছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’’।
কী ঘটেছিল?
বুধবার হীরালাল পাল কলেজের এম এ ফোর্থ সেমিস্টারের ছাত্রীরা বেঞ্চে উঠে সেলফি ও ছবি তুলছিল। এটা জানতে পেরে কলেজের টিএমসিপি নেতৃত্ব তাদের বেঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলে। এই নিয়ে বচসা শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এম এ ছাত্রীদের অভিযোগ, জুনিয়র ছাত্রীরা তাদের তুই-তোকারি করে। এম এ-র এক ছাত্রীও কটূক্তি করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জন্য অধ্যাপকদের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ দুঃখপ্রকাশ করে। তখনকার মতো বিষয়টা মিটে যায়। টিএমসিপি সমর্থকরা তখনই তৃণমূল জিন্দাবাদ বলতে বলে। এম এ ছাত্রীরা তা বলতে অস্বীকার করে। তখন দুপক্ষে হাতাহাতিও হয়। এরপরই কলেজ গেটে তালা মেরে এম এ ছাত্রীদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।এ রপর বিকাল ৫টা নাগাদ বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ছাত্রীদের নিয়ে কলেজ থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন। কলেজ গেটে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ছাত্রদের কিল-ঘুষি খেয়ে মাটিতে বসে পরেন অধ্যাপক।