/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/22/img-20250922-wa0020-2025-09-22-21-47-59.jpg)
উদ্ধার নর কঙ্কাল
পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দু মাস।হুগলির নিখোঁজ যুবক অনিকেত রায়ের কোন হদিশ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয় নি। তারই মধ্যে রবিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনার রাজবংশী পাড়ার ঝোপজঙ্গল ঘেরা জলা জমি থেকে উদ্ধার হয় নরকঙ্কাল। সেই নরকঙ্কালের কাছেই মেলে নিখোঁজ অনিকেতের সাইকেলটি। এই ঘটনা পুলিশ ও কালনার বাসিন্দা মহলে হুলস্থুল ফেলে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে,সাইকেলটি যদি নিখোঁজ থাকা যুবকের হয় তা হলে নরকঙ্কালটি কার?এর উত্তর পেতে পুলিশ উদ্ধার হওয়া নরকঙ্কালটি মনাতদন্তের জন্য সোমবার বর্ধমান হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পাশাপাশি পুলিশ ডিএনএ’ পরীক্ষার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির যুবক অনিকেত রায় গত ১৩ জুন থেকে নিখোঁজ রয়েছে। অনিকেতের বাবা অহীন্দ্রশেখর রায় এদিন জানান, অনিকেতের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত ছিল। পূর্ব বর্ধমানের কালনাতেও সে কাজে যেত। ওর সঙ্গে কারও শত্রুতা রয়েছে বলে তিনি কোন দিনও শোনেন নি। অনিকেতকে কেউ খুন করতে পারে, তাও তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না
অহীন্দ্রবাবু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাই অনিকেত নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেন। হুগলির বলাগড় থানায় ’মিসিং’ ডায়েরিও করেন। ছেলেকে খুঁজে পেতে পরিবার ওঝারও শরণাপন্ন হয়। কিন্তু যুবক অনিকেত কোথায় ?সে জীবিত না মৃত? এ সব প্রশ্নের কোন উত্তর পুলিশের কাছেও এখন যেমন তেমনই নেই অনিকেতের বাড়ির লোকজনের কাছেও নেই।
এমন এক পরিস্থিতিতে নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রবিবার কালনার সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের রাজবংশী পাড়ার জলাজমি থেকে অনিকেতের সাইকেল ও মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ার ঘটনা। উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল অনিকেতের কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডিএনএ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।তবে সাইকেলটি যে অনিকেতের,সেই ব্যাপারে তার পরিবার নিশ্চিত হলেও সাইকেলের পাশে পড়ে থাকা কঙ্কালটি কার ,তা নিয়ে রহস্য এখনো জিয়েই রয়েছে।যদি রাজবংশী পাড়ার অনেকে মনে করছেন ,এটি একটি খুনের ঘটনা হতে পারে । যে ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে তাকে হয় অন্যত্র খুন করে রাজবংশী পাড়ার জলাভূমিতে দেহ ফেলে দিয়ে দুস্কৃতিরা পালিয়েছিল ।নয়তো ঝোপ জঙ্গল ঘেরা এই জলাভূমি এলাকায় ওই ব্যক্তিকে খুন করে দেহ ফেলে রেখে দুস্কৃতিরা পালিয়ে ছিল। পুলিশি তদন্তে এই রহস্যের কি কিনারা হয় তা জানার জন্য এখন ব্যাকুল অনিকেতের পরিবার ও কালনাবাসী।
এবিষয়ে কালনা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) রাকেশ চৌধুরী জানিয়েছেন,’ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে’।