/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/hooghly-1.jpg)
আদালতের পথে ধৃত বিশাল সিং। ছবি- উত্তম দত্ত
শুধুমাত্র নিজের গাড়িটির চাবি দিতে চায়নি, তাই বেঘোরে প্রাণ দিতে হয় গাড়িচালক উদয়ন বিশ্বাসকে। আর ৭ ঘরা রিভলভার থেকে ২টো গুলি করে বিশাল সিং নামে এক দুস্কৃতি। এই বিশাল সিং পুলিশি তাড়ায় ধরাও পড়ে যায়। এদিন বিশাল কে চুঁচুড়া আদালতে তুলে ১০ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ জনের ওই দুষ্কৃতীদলের মাথা ওই বিশাল-ই। পুলিশি তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে।
কে এই বিকাশ? বিহারের আরা জেলার উদয়ভানপুর গ্রামের বছর ২৫য়ের উদয় ছোট থেকেই অপরাধে হাত পাকায়। নাবালক অবস্থায় গ্রামের একটি ছেলেকে পেটে ছুরি মেরে বছর চারেক জুভেনাইল হোমে কাটায়। সেখান থেকে বেরনোর কয়েক বছরের মধ্যে আরার-ই একটি শপিং মলে বোমা মারার অভিযোগ ওঠে বিশালের বিরুদ্ধে। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ছোটখাটো চুরিতেই চলছিল। সেই কাজে কয়েকজন সাকরেদকে জুটিয়েনেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় ,গতকাল ৪ জন দু'ভাগে এসে বর্ধমান স্টেশনে জড়ো হয়। নজর ছিল স্করপিও গাড়ির ওপর। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি স্করপিও গাড়ি তারা ভাড়াতেও পেয়ে যায়। তারপরই ঘটে যায় ওই পৈশাচিক ঘটনা। কিন্তু গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য থাকলে তারা কেন গাড়ির চালককে গুলি করল? এটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের। আপাতত জালে মূল পাণ্ডা বিশাল সিং। বাকি ৩ জন দুষ্কৃতীও ধরা পড়লে সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে পুলিশের। বিশালকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করলেও রহস্য ভেদ হতে পারে।
সূত্রের খবর উদয়নকে মারার উদ্দেশ্য দুস্কৃতিদের ছিল না। কিন্তু রগচটা স্বভাবের বিশাল মাথা গরম করে চালকের পেটে গুলি চালিয়ে দেয়। এরপর চালক টলতে টলতে গাড়ি থেকে নেমে পালাতে গেলে পেছন থেকে জখমের মাথায় গুলি চালায়।
পান্ডুয়া জিটি রোডে গাড়ি চালককে খুনের ঘটনায় ধৃত বিশাল সিংকে বুধবার মগড়া থানা থেকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে পাণ্ডয়ার বোরাগড়ি এলাকায় জিটি রোডের উপর গুলি করে খুন করা হয় গাড়ি চালক উদয়ন বিশ্বাসকে। পূর্ব বর্ধমানের কালনা গেট খাঁপুকুর পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা উদয়ন নিজের স্করপিও গাড়ি ভাড়া খাটাতেন। নিজেই চালাতেন ওই গাড়ি। গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় খন্ন্যানের কাছে পুলিশের নাকায় ধরা পরে যায় বিশাল। গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় বাকি তিন জন।