পুলকার চালকদের প্রশিক্ষণের পরামর্শ দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবেই রাজ্য পরিবহণ দফতরকে এই উদ্যোগ নেওয়ার আর্জি জানান মন্ত্রী। এই প্রশিক্ষণের ফলে পুলকার দুর্ঘটনা কমবে বলেই আশা প্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম।
গত সপ্তাহে পোলবার ভয়াবহ পুলকার দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় জখম দিব্যাংশু এবং ঋষভের অবস্থা এখনও সংকটজনক। তাদের এসএসকেএম-এ চিকিৎসা চলছে। রবিবার অসুস্থ দুই শিশুকে দেখতে হাসপাতালে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'প্রতিনিয়ত পুলকার দুর্ঘটনার খবর পাই। পাঞ্জাবেও পুলকার দুর্ঘটনায় চার জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতরকে সত্যিই কিছু ভাবতে হবে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের কাছে আমার অনুরোধ উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া পুলকার চালকদের যেন লাইসেন্স না দেওয়া হয়।' তাঁর মতে, 'আইন লঙ্ঘন করলে ট্রাফিক পুলিশ পদক্ষেপ করছে। কিন্তু, পুলকার চালকদের ট্রাফিক আইন ভাঙার বিষয়টি যেন স্বাভাবজাত। গাড়ি চালাবার সময় কীভাবে ধৈর্য বজায় রাখতে হবে প্রশিক্ষণে যেন সেই বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেখানো হয়।'
পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় জখম শিশুদের দেখতে এসএসকেএমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধেয় হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ঢুকে দিব্যাংশুকে এবং কার্ডিওথেরাপি ভাসকুলার সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ঋষভের সঙ্গে দেখা করেন শিক্ষামন্ত্রী। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। পুলকার নিয়ে স্কুলগুলির আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলেই জানান তিনি। পুলকারগুলির প্রয়োজনীয় সব অনুমতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য স্কুলগুলিকে শীর্ঘই নোটিস দেবে শিক্ষা দফতর। জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নয়ানজুলিতে উল্টে গেল পুল কার, গ্রিন করিডরে হুগলি থেকে পিজিতে আনা হল তিন পড়ুয়াকে
সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল ?
দুর্ঘটনাটি ঘটে দিল্লি রোডে পোলবা থানার কামদেবপুর এলাকায়। ভোরে শ্রীরামপুর থেকে একটি গাড়িতে ১৫ জন ক্ষুদে পড়ুয়াদের নিয়ে চূঁচুড়ার খাদিনা মোড়ের কাছে টেকনো ইন্ডিয়া স্কুলে আসছিল। উপস্থিত সকলেই প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। মাঝরাস্তায় দিল্লিরোডে পোলবা থানার কামদেবপুর এলাকায় একটি লরীর পেছনে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে প্রায় বিশফুট নীচে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনার পরপরই এলাকার লোকজন দৌড়ে আসেন ঘটনাস্থলে। দুর্ঘটনাগ্রস্থদের নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার করে চূঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন