দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশীথ প্রামাণিক যেখানেই যাবেন সেখানেই তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বাংলার শাসক দল। যা নিয়ে শনিবার কোচবিহারের দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। কালো পতাকা দেখানোকে কেন্দ্র করে শুরুতে তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। হয় বোমাবাজি। গুলি চালানোর হয়েছে বলেও অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় বহু বাইক। ইটের ঘায়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়।
এক্ষেত্রে বিজেপির নিশানায় তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি-ও তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের।পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নিশীথ প্রামাণিক বলেছেন, 'বাংলা এখন দুষ্কৃতীদের রাজত্ব হয়ে গিয়েছে। যে ভাবে দুষ্কৃতীরা হামলা করছে, তা কখনও স্বাভাবিক রাজনীতির পরিবেশ হতে পারে না। বাংলার মানুষ দেখুন, এখানে কী চলছে। তবে লড়াই থেকে আমরা সরব না। পুলিশ নিস্ত্রীয়। পুলিশ ও তৃণণূলের দুষ্কৃতীরা একযোগে এই হামলা চালিয়েছে।'
শনিবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দিনহাটার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন, 'ক্ষতিগ্রস্ত' বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জনসংযোগ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। মাঝপথে দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় নিশীথের কনভয় পৌঁছলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। সে সময় উপস্থিত থাকা বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়। এর পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ের উপর পাথর ছোড়া শুরু হয়। তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। কোনওমতে নিরাপত্তারক্ষীরা নিশীথকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যান।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'এটাই তৃণমূলের সংস্কতি। এইসবই করবে ওরা।' পাল্টা তৃণণূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'ওখানে রাজবংশী যুবককে ১৮০টি বুলেট দিয়ে মেরেছে বিএসএফ। সেই মন্ত্রকের মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। ফলে ওই অঞ্চলের মানুষের ক্ষোভ রয়েছে ওঁর বিরুদ্ধে। তাই এই বিক্ষোভ।'