দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের বিষাদের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে উঠল কান্নার রোল। আচমকা হড়পা বানে মাল নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ভেসে গেলেন প্রায় ৪০ জন। তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা সাত জন।
Advertisment
এছাড়াও ১১ জনকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
ঘটনার পরই খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। নদীতে জেসিবি নামিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রশাসন সূত্রে খবর, মালবাজার শহর ও চা বাগান সংলগ্ন অঞ্চল থেকে বহু পুজো কমিটি বুধবার মাল নদীতে প্রতিমা ভাসানের জন্য এসেছিল। দুর্গাপূজার সমাপ্তিতে বুধবার থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব।
সেই কারণেই মাল নদীর তীরে প্রতিমা নিয়ে এসেছিলেন বিভিন্ন পুজো কমিটির লোকজন। রাত ৮টা নাগাদ আচমকা পাহাড় থেকে নামে হড়পা বান। যাতে শিশু কোলে মহিলা-সহ প্রতিমা ভাসান দিতে আসা অনেকেই ভেসে যান। সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা করতে না-পারার অভিযোগ জানিয়েছেন। উদ্ধারকাজে সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন বাম নেতৃত্ব।
রাতের অন্ধকারে প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হলেও শীঘ্রই ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিশের বড় বাহিনী, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা। মালের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বরাইকও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘটনার সময় নদীর কাছাকাছি প্রায় হাজারখানেক লোক ছিলেন। সিকিমের দিকে বৃষ্টির জেরে এই হড়পা বান নেমেছে বলেই প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। খবর পেয়ে, বিভিন্ন পুজো কমিটির লোকজনও ঘটনাস্থলে আসা শুরু করেছেন। তার মধ্যেই বিভিন্নভাবে আলোর ব্যবস্থা করে চলছে উদ্ধারকাজ।