/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/04/air-conditioner-gas-leaking.jpg)
এসি মেশিনে গ্যাস মাপা হচ্ছে।
প্রচণ্ড গরম, দিন-রাত এক করে চলছে এয়ার কন্ডিশন মেশিন (এসি)। প্রায়ই ফুরোচ্ছে গ্যাস। ফলে এসি মেশিনের ঠান্ডার বহর কমছে। ফলে সার্ভিসিংয়ের জন্য ডাকতে হচ্ছে লোক। এই গ্যাস কমার কারণ কী? অতিরিক্ত ব্যবহার নাকি গ্যাস লিক?। গ্যাস লিকের নামে মেরামতি যথপোযুক্ত হচ্ছে কিনা তাই বা বুঝবেন কীভাবে? এসবের খুঁটিনাটি বাড়িতে বসেই খতিয়ে দেখতে পারবেন আপনি!
ঘরোয়া পদ্ধতিতে, খুব সহজেই এসি মেশিনের গ্যাস পরীক্ষা সম্ভব। এ জন্য আপনাকে প্রথমেই এসির কুলিং কনডেন্সার পরীক্ষা করতে হবে। পরবর্তীতে এসি চালিয়ে তার কুলিং কয়েলটি পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যদি কুলিং কয়েলে বরফ না জমে থাকে, তাহলে আপনার এসি থেকে গ্যাস লিকের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া গজের মাধ্যমেও এসির গ্যাস লিক হচ্ছে কিনা তা মাপা সম্ভব। গজ কম্প্রেসর বাড়ির দেওয়ালে লাগানো হয় এবং এর সাহায্যে প্রেসার চেক করা হয়। একটা ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনারের গ্যাসের প্রেসার ১৫০ থাকলে তা নর্মাল। এখন আপনার ইনভার্টার এসিতে যদি একই প্রেসার থাকে, তাহলে আপনার গ্যাস রিফিল করার প্রয়োজন নেই। যদি এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের গ্যাসের প্রেসার ৬০-৭০ হয় তাহলেও গ্যাস পূরণ করতে হবে।
R32 এবং R410, সাধারণত এয়ার কন্ডিশন মেশিনে দুই ধরনের গ্যাস থাকে। বর্তমানে বেশির ভাগ এসিতেই থাকে R32 গ্যাস। কারণ, এটি পরিবেশ বান্ধব বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। এই ধরনের গ্যাস এসি থেকে লিক হলে সাধারণত পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয় না।
আশা করা যায় উল্লেখিত দুটি পদ্ধতির ব্যবহার জানলে এসি মেশিনে গ্যাস ভরা নিয়ে আপনার ঠকে য়াওয়ার সম্ভবনা প্রায় নেই।