Terrible Incident At Howrah Station: সকাল গড়িয়ে তখন বেলা বাড়ছে। একের পর এক এক্সপ্রেস, লোকালের যাত্রীদের আনাগোনায় ঠাসা ভিড় হাওড়া স্টেশনে ((Howrah Station)। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই নজরে পড়লেন একদল মারমুখী যাত্রী! নিমেষে ভয়ঙ্কর কাণ্ড। লন্ডভন্ড স্টেশনের অফিস ঘর, এনকোয়্যারির ডিসপ্লে বোর্ড। রীতিমত তাণ্ডব।
কেন এমন আচরণ যাত্রীদের?
মারমুখী যাত্রীদের কয়েকজনের অভিযোগ, হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস মঙ্গলবার সকাল ৬টা ২০-তে ছাড়ার কথা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢোকেনি। বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এনকোয়্যারি অফিসের বিষয়টি জানতে চাওয়া হলেও রেল কর্তৃপক্ষ কোনও তথ্যই দেননি।
এভাবেই চলে প্রায় ঘন্টা দুই-আড়াই। শেষমেষ ধৈর্য্যেপ বাধ ভাঙে হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের। সকালে ট্রেন হওয়ায় এদের কেউ স্টেশনে গতকাল রাতেই এসে পড়েছিলেন, কেউ আবার রাত থাকতে থাকতে বেরিয়ে সকালে পৌঁছান হাওড়া স্টেশনে।
আরও পড়ুন- Indian Railway’s AC Coachs: রেলে ভ্রমণ করেন? জানেন দূরপাল্লার ট্রেনে কেন মাঝখানে থাকে এসি কোচ?
এরপরই হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অনুসন্ধান অফিসে ঢুকে পড়েন ওই ট্রেনের যাত্রীরা। শুরুতে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বটসা। তারপরই ভাঙচুর শুরু হয়। ভেঙে দেওয়া হয় অফিসের কাচ। উপড়ে ফেলা হয় এনকোয়্যারি অফিসের ডিসপ্লে বোর্ড।
কেন এই অবস্থা?
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানিয়েছেন, রেকের সমস্যা থাকায় হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের দেরি হয়েছে। পুরোটাই তদন্ত করে দেখা হবে।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় চারঘণ্টা পর হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে আপ হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। সূত্রের খবর, রেল ইয়ার্ড থেকে ট্রেন ছাড়া সম্পর্কে কোনও খবর না মেলায় সমন্বয়ের অভাবেই এই বিভ্রাট।