Howrah: বুধবার রাতে হাওড়ারয় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। এক পক্ষ অপর গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে তুমুল ইট ছোড়ে। লাঠি হাতে আক্রমণ শানায়। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। গোটাটার নেপথ্যে মমতা সরকারের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া বাহিনীর। এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়।
হাওড়া ময়দানের ফাঁসিতলা এলাকাতেও দু'পক্ষের গন্ডগোল ছড়ায়।
বৃহস্পতিবার এক্সবার্তায় বিজেপি নেতা অমিত মালব্য লিখেছেন, 'গত রাতে, হাওড়া পৌরনিগমের অধীন হাওড়া বেলিলিয়াস রোডের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বড় বড় পাথর ছোড়া হয়েছিল। এটি সেই একই জায়গা যেখানে রামনবমী শোভা যাত্রাকে নিশানা করা হয়েছিল, এই এলাকা নবান্ন থেকে খুব বেশি দূরে নয়, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসেন৷ বিক্ষুব্ধ মুসলিম জনতা এলাকাটিকে লক্ষ্যবস্তু করে কারণ এখানকার হিন্দু জনগোষ্ঠী প্রাণপ্রতিষ্ঠা (২২শে জানুয়ারি) উদযাপন করেছিল। ওই সময় স্থানীয় একটি শিব মন্দিরও ভাঙচুর করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু সুরক্ষা দিতেই ব্যর্থ হননি, বরং সর্বধর্মসভায় তাঁর সাম্প্রদায়িক ভাষণ হিংসাকে প্ররোচিত করেছিল। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের আদেশের চরম লঙ্ঘন করছেন, যা মুখ্যমন্ত্রীর উপর আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব দিয়েছিল। বাংলার পুলিশ প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে বাধা না দিয়ে বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের সুরক্ষার দিকে মনোনিবেশ করা, এতে হিন্দুরাও অন্তর্ভুক্ত। বিজেপি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনের পদক্ষেপের সম্ভাবনা কম। সব মিলিয়ে শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক।'
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। সকাল থেকে হাওড়া ময়দান এলাকায় দোকানপাট, বাজার বন্ধ। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। বলেছেন, 'কোনও প্ররোচনায় কান দেবেন না। এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন।'