এ রাজ্যে চেক জালিয়াতির ঘটনায় পাক যোগ সামনে এল। হাওড়ায় বড়সড় চেক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। চেক নকল করে কোটি কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাকিস্তান ও দুবাইয়ে ধৃতদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
নকল চেকে টাকা তুলতে এসেই খপ্পরে পড়ে এক অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ নভেম্বর সালকিয়ার কানাড়া ব্যাঙ্কের শাখার ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অনীশ কুমার ঠাকুর নামে বছর একুশের এক যুবককে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন যে, অনীশ চেকের মাধ্যমে ৬.৩ লক্ষ টাকা তোলে। সেই চেক খতিয়ে দেখতেই ব্যাঙ্কের নজরে আসে যে, চেকে সই মিলছে না। এরপরই চেকটি আসলে যাঁর, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাঙ্ক, তখনই জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসে। এরপরই গত শনিবার অনীশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন, রক্ষকই ভক্ষক! মূক ও বধির কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হাওড়ার হোমের তিন কর্মী
অনীশকে জেরা করেই বাকি অভিযুক্তদের হদিশ মেলে বলে জানিয়েছেন উত্তর হাওড়ার ডিসি অমিত কুমার বি রাঠৌর। এ ঘটনায় বাকি ধৃতরা হল মণীশ গুপ্ত(২১), রঞ্জন যাদব(২৭), ইরফান আলি(৩৪), জুনেদ আলম ওরফে রিঙ্কু(৪০), মহম্মদ তৌহিদ ওরফে গুড্ডু(৩৬) ও সন্দিক আলি ওরফে অজয় সিং(২২)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনীশ ও মণীশ হাওড়ার বাসিন্দা। অন্যদিকে, রঞ্জন, ইরফান, জুনেদ বিহারের বাসিন্দা। তৌহিদ ও সন্দিককে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘ধৃতরা একে অপরের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপ কলে কথা বলত। পাকিস্তান ও দুবাইয়ে ওদের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। চেক ক্লিয়ার হলে, ওরা বিভিন্ন এটিএম থেকে টাকা লেনদেন করত। নকল চেক বানাতে পারে এমন কয়েকজন এ ঘটনায় জড়িত বলে মনে করছি। কোথায় নকল চেক বানানো হত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তবে এ ঘটনায় কোনও ব্যাঙ্ককর্মী জড়িত থাকতে পারেও বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
ধৃতদের থেকে বেশ কয়েকটি জাল চেকবই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। যার মধ্যে ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও ৬টি বেসরকারি ব্যাঙ্কের চেকবই রয়েছে। এছাড়াও ৩০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা বিদেশে পাঠানো হত বলেও মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English