Advertisment

খোদ হাসপাতালেই মৃতের পা ঠুকরে খেল কাক

হাসপাতালের মধ্যে গাছতলাতেই গত কয়েকদিন ধরে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বিকেল নাগাদ গিয়ে দেখা যায় মৃতদেহের পায়ের ঘা ঠুকরে খাচ্ছে কাক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এই অমানবিক ঘটনায় হতবাক হাওড়াবাসী।

হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে ছিলেন। পায়ের ঘা সহ শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালের এদিক ওদিক শুয়ে থাকতেন। চলাফেরার ক্ষমতাও ছিল না। সেদিকে নজর ছিল না কারও। মৃত্যুর পর সেখানে গাছতলার নীচে তাঁর পায়ের অংশ ঠুকরে ঠুকরে খেতে দেখা গেল কাককে। এই অমানবিক ঘটনায় হতবাক হাওড়াবাসী।

Advertisment

হাওড়া জেলা হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরের সামনে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে পড়ে রইল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের অফিস থেকে মাত্র ১২-১৩ ফুটের মধ্যে পড়েছিলেন ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। আশপাশে মানুষজন হেটে চলেছে। ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসের এক মহিলা জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগেও জল পান করতে দেখেছেন ওই ব্যক্তিকে। যদিও ততক্ষণে দেহ শক্ত হয়ে গিয়েছে। রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা জানান, ওই গাছতলাতেই গত কয়েকদিন ধরেই রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর পায়ে ঘা থাকায় বিশেষ একটা হাটাচলা করতেন না। যে যখন যা খেতে দিত তাই খেয়েই দিন কাটত তাঁর। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ গিয়ে দেখা যায় মৃতদেহের পায়ের ঘা ঠুকরে খাচ্ছে কাক।

রোগীর আত্মীয় সোনালি নস্কর জানান, বেলা আড়াইটে থেকে ওইভাবেই পড়ে রয়েছেন। কাক পা ঠুকরে খাচ্ছে। বাড়ির লোক না এলেও দেহটা তো মর্গে নিয়ে রাখা যেত বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তাঁর মতে, হাসপাতালেই যদি এমন দৃশ্য দেখতে হয় তাহলে কিছু বলার নেই।

জানা গিয়েছে, ভবঘুরে প্রকৃতির ওই ব্যক্তির পায়ের ঘায়ের কারণে চলাফেরা করতে সমস্যা ছিল। লোকজন যা খাবার দিত তা খেয়েই দিন চলে যেত। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, হাসপাতালের ভেতরে থাকা সত্বেও কিভাবে বিনা চিকিৎসায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল? হাসপাতালের কারও নজরে পড়ল না। আবার মৃত্যুর পর দেহ সঠিকভাবে রাখার ব্যবস্থাও করা গেল না। কাক ঠুকরে খেল পায়ের অংশ! বিস্মিত হাওড়ার সাধারণ মানুষ।হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার ডঃ নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি জানার পরেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Howrah
Advertisment