বিন্দু দিয়ে সিন্ধু বলতে যদি কিছু বোঝায় তবে, সেটি বোধহয় বিমান দাসের আঁকা। আর্ট তো অনেক ধরনের হয়, কেউ ক্যানভাসে শুধুই রং ছোঁয়ান আবার কেউ কেউ পেনসিল স্কেচ করেন। তবে হাওড়ার ডুমুরজলার বিমান দাস, বিন্দুর পর বিন্দু বসিয়েই এক বিরাট সম্মাননা পেলেন তিনি।
Advertisment
কিন্তু হঠাৎ এই প্যাশন কেন? ভিন্ন ধরনের এই আঁকা কেনই বা সৃষ্টি করলেন তিনি? ছোট থেকেই আঁকার প্রতি ভালবাসা? নাকি নতুন করেই এই ঝোঁক! ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে উজাড় করলেন তিনি।
এটাই আপনার প্রথম রেকর্ড?
না না, একেবারেই না! বরং ২০২০ সালে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস করেছিলাম। এইবছর limca বুক অফ রেকর্ডস। তবে, বিষয়টা হল গিয়ে আমি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের পরেই কিন্তু এর জন্য আবেদন করি। অনেকেই মনে করেন যে টাকার বিনিময়ে রেকর্ড বা পুরস্কার দেওয়া হয়। সেটা কিন্তু একেবারেই না।
শুরুটা কী ভাবে? আঁকার ঝোঁক কি বরাবরই?
আসলে, আমার গল্পটা একদম অন্যরকম। কারণ, লোকজন ছোট থেকে শুরু করে আঁকা অথবা শিল্প। সেখানে আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন থেকে শুরু করি আঁকা। একটা শিল্পিসত্বা ছিল এটুকু বলতেই পারি। তারপর আমার বাড়ির কাছে শরৎ সদনে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছবি আমায় এঁকে দিতে বলা হয়। তখন থেকেই ভেবেছিলাম, যে একইরকম নয় অন্যরকম কিছু করব। অর্থাৎ জল রং বা ক্যানভাস নয় বরং ডট দিয়ে আঁকব। এখন থেকেই যাত্রা শুরু, এত প্রশংসা পেলাম যে বলার ভাষা নেই।
কাউকে দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন?
সত্যি কথা বলতে সেভাবে অনুপ্রেরণা কেউই নেই। বরং, আমার কাজ করার আগে এরকম আঁকা আমার চোখেই পড়ে নি। বেশিরভাগ দেখেছি রেখা রয়েছে। একদম বিন্দু দিয়ে হয়নি। বা হয়তো আমার চোখে পড়েনি। অনেক সময় বিন্দুর মধ্যে রঙের ছোঁয়াও দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক স্তরে যাওয়ার ইচ্ছে নেই?
যাওয়ার ইচ্ছে নেই বলাটা খুব ভুল হবে। বরং আমি, সুযোগ পাই নি এখনও। আবেদনের তো সময় লাগে। সেটুকু সময় তো দিতে হবে। অনেক সময় ৩/৪ বছরও লেগে যায় আবেদন করার পর। ভবিষ্যতে অবশ্যই করবো।
প্রফেশনাল জীবন কি এইদিকেই বেছে নিয়েছেন?
হ্যাঁ, আমি একজন আর্টের ছাত্র এবং স্কুলের শিক্ষকও। বাচ্চাদের আঁকা শেখাতে ভালবাসি। সব মিলিয়েই চলছে।