ভাগাড়ের ভার কমাতে শহরের রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে ভ্যাট, এমনই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলছে হাওড়া পুরসভা। ইতিমধ্যেই সে সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলী। আগামীদিনে পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডেই চালু হবে এই ব্যবস্থা। প্রথমে একটি ওয়ার্ডে শুরু করা হবে 'পাইলট প্রজেক্ট' এবং পরবর্তীকালে অন্যান্য এলাকাতেও চালু করা হবে এই ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন- হাওড়া শহরে নয়া আইন, বাড়িতে জল জমালেই এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
প্রসঙ্গত, হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ে জমা হয় গোটা হাওড়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার আবর্জনা। কিন্তু হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, সেই বেলগাছিয়া ভাগাড়ে এখন আর আবর্জনা ফেলার জায়গা নেই। সেই ভাগাড়ের ভার কমাতেই এবার নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে হাওড়া পুরসভা। তাই এবার শহরের রাস্তা থেকে ভ্যাট তুলে, বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করবেন পুর কর্মীরা। এই কাজের জন্যে পুরসভার তরফে কেনা হবে বিশেষ হাতে টানা গাড়ি। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে পুরকর্মীরা হাওড়া শহরের অলিগলিতে ঢুকে বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করবেন।
ঠিক কী করতে হবে বাসিন্দাদের?
জানা যাচ্ছে, হাওড়া পুরসভার বাসিন্দাদের নিজেদের বাড়ির আবর্জনা দুই ভাগে ভাগ করে রাখতে হবে। একটিতে থাকবে পচনশীল বা বায়োডিগ্রেডেবেল বর্জ্য, যেমন আনাজের খোসা, খাবারের উচ্ছিষ্ট প্রভৃতি এবং অন্যটিতে থাকবে অপচনশীল বা ননবায়োডিগ্রেডেবেল বর্জ্য যেমন, প্ল্যাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ, কাঁচের বোতল প্রভৃতি। কিভাবে আবর্জনা রাখতে হবে সেই বিষয়টি বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাতে কলমে বুঝিয়ে দেবেন পুর কর্মীরা।
আরও পড়ুন- হাওড়ার গুদামে বিস্ফোরণ, গুরুতর আহত ভ্যানচালক
হাওড়া পুরসভার নয়া এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে হাওড়ার পুর কমিশনার বলেন, "রাস্তার ধারে থাকা ভ্যাটগুলি থেকে দূষণ ছড়ায়। ভ্যাটগুলি তুলে দিলে সেই দূষণকে কিছুটা হলেও রোধ করা যাবে। এমনকী রাস্তার খানিকটা অংশ জুড়ে থাকা ভ্যাটগুলি সরে যাওয়ার ফলে রাস্তার পরিসরও বাড়বে"। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক তথা পুর কমিশনার বিজন কৃষ্ণ আরও বলেন, “পচনশীল বা বায়োডিগ্রেডেবেল বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে কমপোজড সার। অন্যদিকে অপচনশীল বা ননবায়োডিগ্রেডেবেল বর্জ্যগুলি দিয়ে দেওয়া হবে কাবাড়িওয়ালাকে”।
হাওড়ার পুর কমিশনার আরও জানান, আগামীদিনে পচনশীল বা বায়োডিগ্রেডেবেল বর্জ্য থেকে তৈরি কমপোজড সার বাজারে বিক্রি করে আর্থিক সংস্থানও হবে পুরনিগমের। সেই অর্থে এই প্রকল্পের খরচের অনেকটাই উঠে আসবে বলে প্রাথমিক অনুমান পুর কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে, হাওড়া শহরের অনেকগুলি বড় মাপের হাউসিংকে ইতিমধ্যেই আবর্জনা উৎপাদনে ‘বাল্ক জেনারেটার’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুরসভা। তাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থার কথাও চিন্তা ভাবনা করছে পুরসভা।
হাওড়ার সব খবর পড়ুন, এখানে