অগ্নিগর্ভ হাওড়া। বিক্ষোভ অব্যাহত। নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়ার পাঁচলায়। একটি ক্লাবে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইঁট-পাথর মারা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
শুক্রবারই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রে হাওড়াজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর হবে। অন্যদিকে হাওড়ার উলুবেড়িয়া মহকুমায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। আগামী বুধবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
সলপে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিরক্ষার জন্য় বিভিন্ন মহল থেকে আবেদন করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আবেদন জানিয়েছেন ফুরফুরা শরীফের পীরজ্দা ত্বয়া সিদ্দিকী। আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন তিনি। বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহম্মদ ইয়াহিয়া জানিয়েছেন, প্রশাসন ভালো কাজ করেছে। লাঠি চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করেছে। যারা প্রশাসনের উপর হামলা করছে, বোমা ছুঁড়ছে তাদের ধিক্কার। বাংলার কোথাও যাতে এই অশান্তি না ছড়ায়। প্রশাসন কড়া হাতে মোকাবিলা করুক।
অবস্থা ফেরাতে আগেই সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিলেন রাজ্যপ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে সেনা মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
পয়গম্বর বিতর্কে হিংসার ঘটনায় শুক্রবার গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।