/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/howrah-in-line-2-1.jpg)
জঞ্জালে ঢেকেছে হাওড়ার একাধিক এলাকা। ছবি- অরিন্দম বসু
আবর্জনার গন্ধে টেকা দায়, তবু দেখা নেই পুরসভার গাড়ির। লাগাতার বৃষ্টির জেরে বেলগাছিয়া ভাগারে স্তুপাকৃতি আবর্জনা ফেলতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি আবর্জনা বোঝাই গাড়ি। ফলে গোটা হাওড়ায় ব্যাহত সাফাই পরিষেবা। শহরের অনেক জায়গায় এদিন বেলা পর্যন্ত আবর্জনা পড়ে থাকলেও, পৌঁছতে পারেনি গাড়ি।
ঠিক কী হয়েছে?
বিগত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় শনিবার সকাল থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে যাওয়ার রাস্তা। শুধু তাই নয়, বৃষ্টিভেজা রাস্তায় বারংবার চাকা অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় একাধিকবার দুর্ঘটনার কবলেও পড়তে হয় গাড়িগুলিকে। এমনকী বেলগাছিয়ার ভাগারে ময়লা ফেলার সময় একটি আবর্জনার গাড়ি ডাম্পারে আটকে যাওয়ার পর থেকেই বিপত্তির মুখে পড়তে হয় জঞ্জাল ফেলার বাকি গাড়িগুলিকে। দুর্ঘটনা থেকে গাড়িটির চালক এবং সহকারীকে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচানো গিয়েছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/howrah-in-line1.jpg)
কিন্তু ভাগারের এই দুর্ঘটনার জেরে ব্যাহত হয়ে পড়েছে পুর অঞ্চলের সাফাই পরিষেবা। দীর্ঘদিন ধরে হাওড়া শহরের যাবতীয় আবর্জনা ফেলতে ফেলতে বেলগাছিয়া ভাগাড় বিশালাকৃতির পাহাড়ের রূপ নিয়েছে। আবর্জনা বোঝাই গাড়িগুলি সেই জঞ্জালের পাহাড়ের উপর উঠেই জঞ্জাল জমা করে আসত। কিন্তু হঠাৎ এই বিপত্তির পর সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে পড়ে হাওড়ার আবর্জনা সাফাই পরিষেবা।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/howrah-in-line-3-1.jpg)
এদিকে, হাওড়া শহরের এহেন অবস্থা প্রসঙ্গে পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, "গাড়ির দুর্ঘটনার ফলেই এই অসুবিধা তৈরি হয়েছে। কাজের গতি ধীর হয়ে গিয়েছে। আগে ৮০ গাড়ি আবর্জনা ফেলতে যে সময় লাগত, এখন সেই সময়ে আবর্জনা ফেলতে পারছে মাত্র ২০টি গাড়ি। তবে কীভাবে আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগোনো যাবে সে বিষয়টি দেখছি আমরা"। অন্যদিকে ২৬নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শ্যামল মিত্র এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আমার এলাকার ভ্যাটগুলি আবর্জনায় ভর্তি হয়ে রয়েছে। এ সমস্যার কথা আগে জানানো উচিত ছিল পুরসভার"।