সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে সোমবার ক্লাসে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ ছাত্রদের! ক্লাসরুমে ঢোকার মুখেই দাঁড়িয়ে স্বয়ং মৃত্যুদূত! তিন কেউটের ফণা তুলে হিসহিস শব্দে যেন রক্ত হিম গোটা ক্লাসরুমের। তিন কেউটের এই কীর্তি মুহূর্তের মধ্যে চাউর হয়ে গিয়েছে স্কুল জুড়ে। খবর ছড়াতেই স্কুল বাড়ি ছেড়ে দৌড় দিয়েছে ছাত্ররা। এই খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন স্কুলের শিক্ষকরাও। এরপর ক্লাসরুমেই কেউটেদের দরজা বন্ধ করে রেখে, খবর দেওয়া হয় থানায়। কেউটে আতঙ্কে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় স্কুলও। ভীত সন্ত্রস্ত গোটা এলাকা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ের জামদন্ড প্রাইমারি স্কুলে।
ঠিক কী হয়েছিল?
হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের কোলরা -১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই প্রাইমারি স্কুলের ক্লাসরুমে সোমবার দেখা মেলে তিনটি প্রমাণ সাইজের কেউটে সাপের। ততক্ষণে স্কুলে আসতে শুরু করেছে ছাত্ররা। বিষাক্ত ফণা তোলা এই তিন কেউটেকে দেখা মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা স্কুল চত্বরে। ভয়ে স্কুল প্রাঙ্গন ছেড়ে বেরিয়ে যায় পড়ুয়ারা।
বন দফতরের কর্মীরা এসে উদ্ধার করে সাপগুলিকে। ছবি- অরিন্দম বসু
খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসেন স্কুলের শিক্ষকরা। তৎক্ষণাৎ ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে সোজা খবর দেওয়া হয় থানায়। এরপর খবর দেওয়া হয় বন দফতরেও। কেউটে আতঙ্কে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় স্কুলও। পরবর্তীতে বন কর্মীরা স্কুলের ক্লাসরুম থেকে সাপগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান। হাওড়া আরবান ফরেস্ট রেঞ্জের তৎপরতায় ওই বিষধর সাপগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বনদফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, সাপগুলির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট। কিন্তু কীভাবে এই সাপগুলি ক্লাসরুমে এল সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বন দফতরের কর্তারা। উল্লেখ্য, এদিনই জগৎবল্লভপুরের মাজু ব্লকের একটি গ্রাম থেকেও বেশ কয়েকটি চন্দ্রবোড়া সাপ উদ্ধার করেছে বন দফতর।