Marijuana Recover: শনিবারই হাওড়ার সাঁকরাইলে এক বিজেপি (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে গাঁজা (Marijuana) উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাড়ির পাশে টালির ঘরে প্যাকেট-প্যাকেট গাঁজা উদ্ধারে চোখ কপালে ওঠে দুঁদে পুলিশ কর্তাদেরও। তারপরেই ওই বিজেপি নেত্রীর স্বামীকে আটক করে পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে ৪১ কেজিরও বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ধৃত বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), দিলীপ ঘোষদের (Dilip Ghosh) ছবি প্রকাশ করে হইচই বাঁধাল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাঁকরাইলের (Sankrail) নবঘড়া সরদার পাড়ায় হানা দিয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগ ও সাঁকরাইল থানার পুলিশ। বিজেপি পঞ্চয়েত সদস্যা রূপা রায়ের (Rupa Roy) বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। রূপার স্বামী নিতাই রায় এলাকায় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। গাঁজা মজুতের অভিযোগে বিজেপি নেত্রীর স্বামী-সহ মোট ৩ জনকে পুলিশ আটক করে।
এদিকে, গাঁজা মজুতের দায়ে ধৃত বিজেপি (BJP) নেতা নিমাই রায়ের সঙ্গে একাধিক সময়ে বিজেপির তাবড় নেতাদের একই ছবিতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের (TMC) তরফে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে নিমাই রায়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। তা নিয়েই হইচই পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটকরা গাঁজা মজুতে ধৃত বিজেপি নেতার সঙ্গে শুভেন্দু-সুকান্তদের ছবি প্রকাশ করেছেন।
এক্স (x) হ্যান্ডেলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ওই ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, "বিজেপি এবং অপরাধের মধ্যে অন্ধকার সম্পর্ক উন্মোচন! সাঁকরাইল থেকে বিজেপির পঞ্চায়েত নেতাকে ৪২ কেজি গাঁজা-সহ হাতেনাতে ধরা হল! কী হবে শুভেন্দু, সুকান্তদের। বিচারের স্বঘোষিত চ্যাম্পিয়নরা কি তাদের মাদক ব্যবসায়ী বন্ধুর কথা বলবেন?" একইভাবে তৃণমূলের অন্য নেতা-মন্ত্রীরাও গাঁজা মজুতে ধৃত নেতার সঙ্গে শুভেন্দু, দিলীপদের ছবি প্রকাশ করে কটাক্ষের বন্যা বইয়েছেন।
আরও পড়ুন- Sukanta Majumdar: চরম ফ্যাসাদে সুকান্ত! সন্দেশখালি-কাণ্ডের প্রতিবাদে গিয়ে তুমুল অস্বস্তিতে সাংসদ
এদিকে, গাঁজা মজুতে ধৃত দলের নেতার সঙ্গে তাঁদের ছবি প্রকাশ ঘিরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "তদন্ত প্রয়োজন। যাঁরা গাঁজার ব্যবসা করে ২৫-২৬ কেজি গাঁজা কেউই নিজের বাড়িতে রাখে না। ইতিমধ্যেই এই কমিশনারের বিরুদ্ধে গাঁজা কেস নিয়ে হাইকোর্টে একটি পিআইএল চলছে। হাওড়া কমিশনারেট ও থানা বাজেয়াপ্ত গাঁজা নিয়ে যে তথ্য দিয়েছে তা মিলছে না। থানা বলছে ১০০ কেজি আছে, কমিশনারেট বলছে ৫০ কেজি আছে। মামলা চলছে। আগামী দিনে এই মামলা যখন সামনে আসবে কমিশনারেট ও থানা সব ধরা পড়বে। গাঁজা কেসে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এর নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি।"
এদিকে, হাওড়া শহর বিজেপি সভাপতি রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য এপ্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "এত গাঁজা এখানে উৎপন্ন হয় কিনা সন্দেহ। সাঁকরাইলেই আমাদের দলের বহু লোককে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্র পদক্ষেপ করছে। সেটাকে কাউন্টার করতে গিয়ে প্রতিশোধমূলক আচরণ করছে। বিভিন্ন ব্যাপারে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধেও কেস দিয়েছে। যত ভোট এগোচ্ছে পুলিশের সক্রিয়তা বাড়ছে। আমরা সাঁকরাইল থানার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।"