Advertisment

শালিমার স্টেশনের বাইরে চললো গুলি, নিহত তৃণমূলের যুব নেতা

এই ঘটনার পেছনে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। অন্যদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই ধর্মেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনা হাওড়ায়। এই নিয়ে তৃতীয়বার এমন ঘটনার স্বাক্ষী থাকল হাওড়া। বোটানিক্যাল থানা এলাকার বাসিন্দা, পেশায় প্রমোটার ধর্মেন্দ্র সিং-কে বাইকে করে এসে পেছন থেকে গুলি চালিয়ে খুন করে দূষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার শালিমার ৩ নম্বর গেটের কাছে এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

Advertisment

হাওড়া বি গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র সিং তৃণমূল করতেন। কোনও পদে না থাকলেও এলাকায় যুবনেতা হিসেবেই পরিচিত তিনি। এই ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলছে শাসক দল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে ধর্মেন্দ্র সিং বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সওয়ারী ছিলেন এক যুবক। শালিমার ৩ নম্বর গেটের কাছে ব্রীজে ওঠার সময়ে পেছন থেকে তিনটি বাইক করে দূষ্কৃতিরা এসে ধর্মেন্দ্রকে লক্ষ্য করে পর পর ছ'টি গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই মাটিতে পড়ে যান ধর্মেন্দ্র, হাতে গুলি লাগে তাঁর সঙ্গীর। দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে চম্পট দেয় দূষ্কৃতিরা।

স্থানীয়রা তাঁকে তুলে নিয়ে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয়সুত্রে জানা গিয়েছে শরীরে বিভিন্ন স্থানে গুলির ক্ষত থাকার পাশাপাশি ধর্মেন্দ্রর মাথাতেও গুলি লাগে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় থাকা তিনটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর চালানো হয় কয়েকটি দোকানে। বাসও ভাঙচুর করা হয়।

এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দূষ্কৃতিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সদরের তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, "ধর্মেন্দ্র যুব তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। এই ঘটনার পেছনে একটা চক্রান্ত আছে, তারমধ্যে বিরোধী দলের হাতও থাকতে পারে। শালিমার এলাকায় দলের নেতৃত্বও দিতেন ধর্মেন্দ্র। মানুষের সেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন।” তিনি আরও জানান , পুলিশকে বলা হয়েছে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির হাওড়া সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা জানান, 'গত ১৬ আগস্ট বেলিলিয়াস রোডে তৃণমূলেরই একটি রক্তদান শিবিরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল এই ধর্মেন্দ্র। তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ওই নেতা এলাকায় তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট চালাতো। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই ধর্মেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Howrah Murder tmc
Advertisment