Advertisment

Eastern Rail: মানব-স্বার্থে যুগান্তকারী কীর্তির অনন্য নজির রেলের! তাকলাগানো উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা

Eastern Railway: শুধু ট্রেন চালানোই নয়, এর আগেও জাতির স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে পূর্ব রেলকে। এবার নজিরবিহীন এক কীর্তি গড়ে রীতিমতো আলোচনায় উঠে এসেছে পূর্ব রেল। দুরন্ত এই তৎপরতার জেরে রেল নিজের খরচেও বেশ খানিকটা লাগাম পরাতে পেরেছে। একইসঙ্গে অভূতপূর্ব এই চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে পরিবেশেরও কল্যাণ হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Speed ​​of several long distance trains of Eastern Railway increased from 110 km to 130 km, একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের গতি বাড়াল পূর্ব রেল

প্রতীকী ছবি।

Eastern Railway-Howrah Station: মানব স্বার্থে আবারো এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ রেলের। অনন্য অঙ্গীকার নিয়েছে পূর্ব রেল। অভূতপূর্ব এই উদ্যোগের কথা রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে। এবর হাওড়া স্টেশনে বৃষ্টির জল ধরে রেখে তা ফের পুনঃব্যবহার করার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে পূর্ব রেল।

Advertisment

পূর্ব রেলের তরফে দেওয়া বিবৃতি:

বৃষ্টির জল এক ফোঁটাও নষ্ট করা যাবে না এটাই রেলের অঙ্গীকার! বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহারের এই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র জল সংরক্ষণে সহায়ক নয়, বরং পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। হাওড়া স্টেশন পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে বৃষ্টির জল সংরক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

হাওড়া স্টেশনের মোট ছাদের এলাকা ৭৮৮৩১.৬০ বর্গমিটার। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের মাত্রা ১৬৪.৯৫০ মিমি এবং স্টেশনের আশেপাশের এলাকায় মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৯৭৫২৪.৫৪ ঘনমিটার। এই বিশাল পরিমাণ বৃষ্টির জল পুনঃব্যবহার করে জল সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে হাওড়া স্টেশনে যা বার্ষিক মোট বৃষ্টির জল পুনর্বাবহারযোগ্য ৭৩০০০০০ লিটার।

আরও পড়ুন- Kolkata Metro: মেট্রোযাত্রীরা এখবর আগেভাগে জেনে নিন! নয়তো ১ অগাস্ট থেকেই ঘোর সমস্যায় পড়তে পারেন!

বৃষ্টির জল সংগ্রহ প্রকল্প:

হাওড়া স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম নং ২৩ এর নিকটে কনস্ট্রাকশন পিট নির্মাণ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে, ক্ষতিগ্রস্ত পিভিসি ট্যাঙ্কে পাথর ও বালি ভরাট করে বৃষ্টির জল প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধিত হয়।

বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহার:

বৃষ্টির জল প্রথমে ইটিপি (ETP) প্ল্যান্টের দ্বারা পরিশোধন করা হচ্ছে । পরিশোধনের পর পুনর্ব্যবহৃত জল প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন চত্বর ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় স্টেশনে কোনও নতুন জল ব্যবহার না করে শুধুমাত্র পুনর্ব্যবহৃত জল ব্যবহার করা হয়, ফলে জলের অপচয় কমানো যায়।

আরও পড়ুন- Premium: কলকাতা নয়, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে শিক্ষিত জেলার নাম জানলে চমকে যাবেনই!

বৃষ্টির জল সংরক্ষণের উপকারিতা

জল সংরক্ষণ:

বৃষ্টির জল সংগ্রহ ও পুনর্ব্যবহার করে হাওড়া স্টেশন বছরে প্রচুর পরিমাণে জল সংরক্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছে। স্টেশনের ৯০% এলাকা ছাউনি ও ছাদ দিয়ে ঢাকা রয়েছে যা বৃষ্টির জল সংগ্রহের জন্য উপযোগী।
এই জল সংরক্ষণের ফলে স্টেশন প্রাঙ্গণে নতুন জলের ব্যবহার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে।

পরিবেশ সুরক্ষা:

পুনর্ব্যবহৃত জল ব্যবহার করার মাধ্যমে, স্টেশন প্রাঙ্গণে জলের অপচয় রোধ করা হচ্ছে, যা পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বৃষ্টির জল ভূগর্ভস্থ জলে পুনঃচার্জ করার ফলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর বৃদ্ধি পায়, যা ভবিষ্যতে জল সংকট মোকাবিলায় সহায়ক।

আরও পড়ুন- Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জামিন সুপ্রিম কোর্টে, কিন্তু তিহাড়েই থাকতে হচ্ছে তাঁকে

অর্থনৈতিক সুবিধা:

নতুন জলের পরিবর্তে পুনর্ব্যবহৃত জল ব্যবহার করার ফলে জলের খরচ কমে আসে, যা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক। জল সংরক্ষণের এই পদক্ষেপটি দীর্ঘমেয়াদে অর্থ সাশ্রয় করে। হাওড়া স্টেশনে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ ও পুনর্ব্যবহারের এই পদক্ষেপটি একটি পরিবেশের কল্যাণের একটি উদাহরণ। এটি জল সংরক্ষণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

Howrah Eastern Railway Howrah Station Rain Water Harvesting
Advertisment