আগামিকাল, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে যাত্রাশুরু করবে বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তার আগে সুখবর দিল রেল। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটের এই সুপারফাস্ট ট্রেন এবার দাঁড়াবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য শান্তিনিকেতন স্টেশনেও। এই মর্মে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি আবেদন করেছিলেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যেন বোলপুরের শান্তিনিকেতন স্টেশনে দাঁড়ায়। সেই আবেদনকে মান্যতা দিল রেলমন্ত্রক।

বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করেছে রেল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ দিনে বোলপুর (শান্তিনিকেতন), মালদহ টাউন এবং বারসোই স্টেশনে দাঁড়াবে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শুক্রবারই ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন মোদী। কিন্তু সেইদিনই সর্বসাধারণের জন্য চালু হচ্ছে না ট্রেনটি। কবে থেকে সাধারণের জন্য চলবে ট্রেনটি তা রেলের চূড়ান্ত পরিবর্তিত সূচিতে জানানো হয়নি।

প্রাথমিকভাবে রেলমন্ত্রক জানিয়েছিল, হাওড়া এবং এনজেপি স্টেশনের মাধে শুধুমাত্র মালদা টাউন স্টেশনে দাঁড়াবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে শান্তিনিকেতনে স্টপেজ দেওয়ার আর্জি জানান। কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনে বছরভর দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক এবং পড়ুয়া আসেন। কিন্তু বোলপুর-শান্তিনিকেতনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ নেই। কাছাকাছি এয়ারপোর্ট সেই পশ্চিম বর্ধমানে অণ্ডালে। তাই শান্তিনিকেতনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দাঁড়ালে অনেকে উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন ট্রায়ালে ঝড়ের গতিতে ছুটছে বন্দে ভারত, পাহাড়ে যাওয়ার সময় আরও বাঁচবে পর্যটকদের
রেলমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বুধবার ছাড়া সপ্তাহের সবদিনই চলবে বন্দে ভারত। হাওড়া থেকে ভোর ৫.৫৫ মিনিটে ছাড়ূবে, এনজেপি পৌঁছবে দুপুর ১.২৫ মিনিটে। আবার দেড় ঘণ্টা বিরতি নিয়ে এনজেপি থেকে বিকেল ৩.০৫ মিনিটে ছাড়বে এবং হাওড়ায় পৌঁছবে রাত ১০.৩৫ মিনিটে।
