কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ অনুযায়ী এজলাস থেকেই ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে ও প্রসেনজিৎ দাসকে গ্রেফতার করল ইডি। এই ঘটনায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সাময়িক শোরগোল পড়ে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ধৃতদের আজই বেলা তিনটের মধ্যে নিম্ন আদালতে পেশ করতে হবে।
কী অভিযোগ?
গত বছর অক্টোবর মাসে ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের বাড়ি, অফিস ও গাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। উদ্ধার হয় প্রায় আট কোটি টাকা। সেই ঘটনার সূত্রেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস পেয়েছিল লালবাজার। সন্ধার মেলে ১৭টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের। এর মধ্যে ৬টির মাধ্যমে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পায় কলকাতা পুলিশের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা। এখনও পর্যন্ত মোট ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস মিলেছে বলে সূত্রে খবর। অর্থাৎ মূলত ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে শৈলেশ পাণ্ডে ও প্রসেনজিৎ দাসের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার সময় ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের দাদা ও ভাই-সহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তবে তখন পলাতক ছিলেন শৈলেশ ও প্রসেনজিৎ। ওই মামলায় সম্প্রতি নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন এই দু'জনে। ইতিমধ্যেই আর্থির লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠায় মামলাটির তদন্ত ইডিকে করতে নির্দেশ দেয় আদালত।
নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যায় ইডি। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। দুই অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে ও প্রসেনজিৎ দাসকে এজলাসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
আদালতের নির্দেশ মতো এদিন এজলাসে হাজির ছিলেন শৈলেশ ও প্রসেনজিৎ। শুনানির শুরুতেই নিম্ন আদালতের রায়কে খারিজ করে দেন বিচারপতি ঘোষ। এরপরই ইডি এজলাস থেকেও শৈলেশ ও প্রসেনজিৎকে গ্রেফতার করে।