পরবর্তীকালে চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চায় উচ্চমাধ্যমিকের পঞ্চম স্থানাধিকারী চন্দ্র মণ্ডল। হরিপাল গুরুদয়াল ইনস্টিটিউশনের ছাত্র সে। তবে অর্থের কারণে লেখাপড়ায় বাধা কোনওভাবেই চায় না চন্দ্র। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়- পড়ুয়ার মা বলেন, অভাবের সংসারে আর পড়াশোনা সম্ভব নয়।
Advertisment
তাক লাগানো রেজাল্ট!উচ্চমাধ্যমিকে কমার্স বিভাগে ৪৯৪ নম্বর পেয়ে পঞ্চম হয়েছে চন্দ্র। পরবর্তীতে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চায়। ভাগ করে নিলেন নিজের অভিজ্ঞতা। বললেন, "খুব ভাল লাগছে। এতটা আশা করিনি। কিন্তু এবছর পরীক্ষা ভাল দিয়েছিলাম। সিলেবাস একটু কম ছিল।" অভাবের সংসারে বেশিরভাগ সময় নিজের জোরেই পড়াশোনা করেছে সে। চন্দ্র বলেন, "দুজন স্যরের থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। কম্পিউটার স্যার এবং অ্যাকাউন্টেনসি, এই দুজন ভীষণ সাহায্য করেছেন। আমার তো খুব ইচ্ছে পড়াশোনা করার। তবে আর্থিক অনটন পিছিয়ে দিচ্ছে"।
যথারীতি তার এই রেজাল্টে পরিবারের সকলেই খুব খুশি। বাবা-মায়ের অভাবের সংসারে সেভাবে কিছুই নেই তবে হাসি লেগে রয়েছে মুখে। ছেলের পড়াশোনার কারণেই একটি কম্পিউটার রয়েছে শুধু। মা কনক মণ্ডল বলেন, "ছেলের সাফল্যে খুব খুশি। কিন্তু আমাদের যা কষ্ট এরপর ওকে পড়ানো সম্ভব নয়। আমি নিজেই অনেক কষ্ট করি। লোকের বাড়িতে রান্নার কাজ করি"। বাবা দীনেশ মণ্ডল, রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। টিনের চালের বাড়ি, সেভাবে লাইট ফ্যানের বন্দোবস্ত নেই। তারপরেও চন্দনের অদম্য ইচ্ছে।
আপাতত সরকারের কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করছেন পরিবারের সকলে। চন্দনের এই সাফল্যে গ্রামবাসীরা পাশে এসে দাঁড়ান। এলাকার ছেলের এমন রেজাল্টে তারাও যথেষ্ট খুশি। এখন চিন্তা একটাই অভাবের সংসারে নিজের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, কিন্তু উপায় যেন চোখেই পড়ছে না।