Advertisment

কলকাতায় লাখ লাখ টাকা উদ্ধার, লালবাজারের কাছ থেকে

প্রাথমিকভাবে অনুমান, এই টাকা হাওড়ার পাঁচলা থেকে ঝাড়খণ্ডের তিন বিজেপি বিধায়ক গ্রেফতার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
huge amount of money recovered by cid from near lalbazar updates

দফতরের দরজা ভাঙার সময়। ছবি- শশী ঘোষ

কলকাতায় ফের লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার। লালবাজারের উল্টোদিকে বিকানের বিল্ডিংয়ের একটি দফতরে তল্লাশি চালিয়ে লাখ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে সিআইডি গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে প্রায় ৪৯ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, এই টাকা হাওড়ার পাঁচলা থেকে ঝাড়খণ্ডের তিন বিজেপি বিধায়ক গ্রেফতার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।

Advertisment

সিআইডি সূত্রে খবর, যে দফতর থেকে লাখ লাখ টাকা মিলেছে সেটির মালিকের নাম মহেন্দ্র আগরওয়াল। আপাতত ফেরার তিনি। এই দফতরে শেয়ার ট্রেডিং হত বলে জানা গিয়েছে। তাহলে কী শেয়ার ট্রেডিংয়ের আড়ালে হাওয়ালা কার্যকলাপ চলত? খতিয়ে দেখছে সিআইডি।

ধৃত ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের কাছে টাকা গিয়েছিল লালাবাজারের কাছে অবস্থিত বিকানের বিল্ডিং থেকেই। তদন্তে খবর পায় সিআইডি। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ওই বিল্ডিংয়ের এক ব্যবসায়ীর থেকেই টাকা গিয়েছিল। ফলে এদিন বিকানের বিল্ডিংয়ে অভিযান চালায় সিআইডি গোয়েন্দারা। শুরুতে দফতর বন্ধ থাকায় আনা হয় চাবিওয়ালা। পরে তালা ভেঙে দফতরের মধ্যে প্রবেশ করেন গোয়েন্দারা। এরপর প্রায় তল্লাশির প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় গড়ালে মহেন্দ্র আগরওয়ালের দফতর থেকে লাখ লাখ নগদ উদ্ধার হয়।

গত শনিবার হাওড়ার পাঁচলা থানা এলাকায় একটি কালো গাড়ির ডিকি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয়। ওই গাড়িতে ঝাড়খণ্ডের জামতলার বিধায়কের বোর্জ লাগানো ছিল। তল্লাশি হতেই দেখা যায়, ওই গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। ঘটনার সত্য উদঘাটনে এ দিন সাফল্য পেল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা।

কোথা থেকে কেন এত টাকা গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিন বিধায়ক? এর কোনও সদুত্তোর দিতে পারেননি তাঁরা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়। দলীয় তিন বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছে কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলতে বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচার সঙ্গে এই কংগ্রেস বিধায়করা যুক্ত।

kolkata news kolkata CID lalbazar
Advertisment