Advertisment

মাও জল্পনায় গভীর জঙ্গলে উদ্ধার অস্ত্রের ভান্ডার, আতঙ্ক

অস্ত্রের বেশিরভাগ অংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে কোনও গোলাবারুদ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
arms medinipur 759

জেসিবি দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ চলছে। পাশে উদ্ধার হওয়া জং ধরা আগ্নেয়াস্ত্র।

জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের আনাগোনার জল্পনার মধ্যেই এবার মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল বিপুল অস্ত্রের ভান্ডার। গভীর জঙ্গলে জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও সেই দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রে জং ধরেছে। জেলাপুলিশের দাবি, ওই অস্ত্রগুলি সম্ভবত ৯-১০ বছর আগে মাটির নীচে রাখা হয়েছিল। তবে এই অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।

Advertisment

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের উখলাগ্রামের জঙ্গলে জেসিবি নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে শাল গাছের ঘন জঙ্গল জেসিবি দিয়ে খোঁড়ার কাজ শুরু হয়। মাটি গভীর ভাবে খোঁড়া হয়। তখন মেলে ওই আগ্নেয়াস্ত্রের ভান্ডার। গোয়ালতোড় থানা সূত্রে খবর, খনন কার্য চালানোর সময় দুটি বস্তায় মোট চল্লিশটি একনলা বন্দুক উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি টিফিন কৌটো ও ইলেক্ট্রিকের তার।

এদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে খোঁড়াখুঁড়ি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি(অপারেশন) উত্তম ভৌমিক সহ পুলিশ আধিকারিকরা। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, উখলা জঙ্গলে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে বেশ কিছু দেশীয় লম্বা বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এগুলি ৯-১০ বছর আগে কম্বলে মুড়ে রাখা হয়েছিল। অস্ত্রের বেশিরভাগ অংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে কোনও গোলাবারুদ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জঙ্গলমহলে কঙ্কাল ও অস্ত্র উদ্ধার একসময় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবার ঘন জঙ্গলে এই অস্ত্র উদ্ধারে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। কিন্তু কীভাবে ওই অস্ত্র সেখানে এল? এর পিছনে আদৌ কারা রয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। যদিও এই অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা চলছে বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

police Maoist jangalmahal
Advertisment