খোদ বিচারপতির স্বামীকে হেনস্তা। আর, সেই অভিযোগে বিচারপতির স্বামী এবার রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়ালকে। অভিযোগ জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। এমনকী, যাঁর অধীনে রাজ্যের পুলিশ দফতর, সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি লিখে জানালেন অভিযোগ। চিঠিতে কলকাতা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনকেও অভিযোগ জানিয়েছেন বিচারপতির স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে।
তাঁর স্ত্রী, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলা রয়েছে। সেই সব মামলায় বিচারপতি সিনহার কড়া অবস্থান রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের আইন মহল, বিচার বিভাগকে। আর, সেই কারণেই তাঁকে সিআইডি হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ প্রতাপচন্দ্র দে-এর। তিনি চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, বিচারপতি স্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁকে দিয়ে মিথ্যা বয়ান লেখানোর চেষ্টা করেছে সিআইডি। তাঁকে এজন্য মানসিক নিগ্রহও করেছেন রাজ্যের গোয়েন্দা বাহিনীর আধিকারিকরা। অভিযোগকারী প্রতাপচন্দ্র জানিয়েছেন, সাজানো বয়ান দেওয়ার জন্য তাঁকে সিআইডির তদন্তকারীরা টাকা, বাড়ি, গাড়ির টোপও দিয়েছেন।
পালটা সিআইডি সূত্রে খবর, বিচারপতির স্বামীকে যে মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছে, সেটা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। প্রথমে ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না। পরে গত ১ ডিসেম্বর, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, মুখবদ্ধ খামে ডিসেম্বরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- আচমকা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীরা! বেরিয়ে এসে কী পরামর্শ দিলেন?
তারপরই, গত ১ ডিসেম্বর আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-কে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এরপর গত ২২ ডিসেম্বর রাত ১১টা পর্যন্ত তাঁকে ভবানী ভবনে আটকে রাখা হয়েছিল। ওপর মহলের নির্দেশ পেলে ভুয়ো মামলায় তাঁকে গ্রেফতারও করা হবে বলে জানিয়েছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এমনটাই অভিযোগ আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-এর। সিআইডি সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করেননি প্রতাপচন্দ্র দে।