তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। নরমে, গরমে সামলান মুখ্যমন্ত্রীর কঠিন দায়িত্ব। তার আগেই স্বীকৃতি পেয়েছেন জনপ্রিয় ও সফল রাজনীতিবিদ হিসাবে। পাশাপাশি, তিনি গান গান, কবিতা লেখেন, ছবি আঁকেন। কালীপুজোয় নিজের বাড়িতে ভোগ রাঁধতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু, তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতিদের সামনে দাঁড়িয়ে তা মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'আমিও কিন্তু আইনজীবী, আমিও বার কাউন্সিলের সদস্য।'
Advertisment
হাইকোর্টের কাজকর্মের জন্য সম্প্রসারিত এই বি-ব্লকের এক থেকে দশ তলা পর্যন্ত ভবন রাজ্য সরকারের তরফে প্রদান করা হয়। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের হাতে চাবি তুলে দেন মুখ্যসচিব। সেই অনুষ্ঠানেই হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিচারব্যবস্থার প্রতি তাঁর ও মানুষের আস্থার কথা জানান তিনি। সেই মঞ্চেই স্মৃতিচারণায় নিজের আইনজীবীসত্ত্বার কথা তুলে ধরেন মমতা। বলেছেন, 'মানবাধিকার সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় কয়েকবার আমি আইনজীবী হিসাবে এজলাসে ছিলাম। বার কাউন্সিলের মেম্বার হওয়ায় আমি চাঁদাও দিই। আমার কার্ডও আছে। যেকোনও দিন আমি আদালতে কেসের জন্য আসতে পারি।'
ভারতের বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা সুবিদিত। হয়রানির শিকার হন বিচারপ্রার্থীরা। আইনজীবী ও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তা জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর আর্জি এ দিনের মঞ্চ থেকে বিচারপতিদের কাছে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার আবেদন, 'অনেক মামলা তিন-চার বছর ধরে বিচারাধীন, সেগুলি নিষ্পত্তি করুন। জানি আপনারা আপনাদের সামর্থ্য মত সব করেন। তবুও এই বিষয়টি আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করলে উপকার হবে।' আরও বেশি মহিলা বিচারপতি দেওয়ার ব্যাপারেও দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করার জন্য এ দিন সোচ্চার ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।