ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা ডিএ নিয়ে চিৎকার করে, ৩ শতাংশ ডিএ এ বছরও পেয়েছে। প্রতিদিন গিয়ে গিয়ে মিছিল করছে। আর তাঁদের জন্যই ৩৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি চলে গেল। ২ লক্ষ পরিবার বুভুক্ষু হয়ে গেল।’
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। বকেয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধরনা ১০০ দিন অতিক্রান্ত। দাবি আদায়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছ দিয়েই হয়েছে মিছিল। এবার আন্দোলকারীদের ডিএ বৃদ্ধি জন্য পাল্টা শর্ত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘আমার এক লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা তো পড়ে আছে দিল্লিতে। টাকাটা এনে দিন না। তিন শতাংশ (ডিএ) দিয়েছে, দরকার হলে আরও তিন শতাংশ দেব। আমি তো পারি এটা করতে।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথা, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির শর্ত একরকম, রাজ্যে অন্যরকম। কারও যদি মনে হয় এখানে কম বেতন পাচ্ছেন, তা হলে যান না কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি খুঁজে নিন।
আরও পড়ুন- উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি, রাজ্যের অর্ডিন্যান্সে বড় বিতর্ক!
বাম আমলের সঙ্গে বিগত ১২ বছরের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আগে তো এক তারিখে টিচাররা মাইনেও পেতেন না। তিন মাস-চার মাস পর পর বেতন পেতেন। পুরোটাই অনিশ্চিত ছিল। আজ এক তারিখে সকলের কাছে টাকা পৌঁছে যায়। যত প্রকল্প আছে, পেনশন – মানুষ সময়মতো পেয়ে যান। কোথায় ছিল এসব?’
আরও পড়ুন- সন্ধ্যাবেলা হ্যারিকেন হাতে মমতার পাড়ায় মিছিলের অনুমতি, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চাইলেন যে, রাজনৈতিক কারণে বামেরা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করলেন। তাঁদের প্রশয়েই এই ডিএ আন্দোলন। মমতার সাফ কথা, ‘৩ শতাংশের বেশি ডিএ দেওয়া বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির শর্ত একরকম, রাজ্যে অন্যরকম। কারও যদি মনে হয় এখানে কম বেতন পাচ্ছেন, তা হলে যান না কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি খুঁজে নিন।’
মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের মন্তব্য প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে রাজীব দত্ত বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। উনি সব গুলিয়ে দিতে চাইছেন। এর তীব্য সমালোচনা করছি।’