তিনি ডিসেম্বরে বড় কিছু ঘটার বার্তা দিয়েছিলেন। যা নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয় বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এর আগে বেশ কয়েকবার শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত নিয়ে আগে থেকে মন্তব্য করেছেন। পরবর্তী সময়ে দেখা গিয়েছে, তাঁর সেই আগাম মন্তব্য ফলে যাচ্ছে। তাই শুভেন্দুর ডিসেম্বর বার্তায় রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সেই জল্পনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে শুভেন্দু আবার ডিসেম্বরের তিনটি তারিখ ১২, ১৪, ২১-এরও উল্লেখ করেছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ওই তিন দিনেই বাংলায় ঘটতে পারে বড় কিছু।
আরও পড়ুন- গোয়া-ত্রিপুরায় মুখ থুবড়ে পড়লেও মেঘালয়ে আশার আলো দেখছে তৃণমূল! কী অঙ্ক মমতা-অভিষেকের?
সোমবারই ছিল শুভেন্দুর দেওয়া সেই তারিখের প্রথম দিন, ১২ ডিসেম্বর। দক্ষিণ কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছাকাছিই হাজরায় ছিল তাঁর সভা। আর, সেই সভায় রীতিমতো ঢোঁক গিললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর তারিখ দেওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া কৌতূহল আর জল্পনায় বেলুন নিজে হাতেই ফাঁসিয়ে দিয়ে জানালেন যে ওই তিনটি তারিখের ভুল অর্থ করা হচ্ছে। তিনি মোটেও সরকার পরিবর্তন হওয়ার সংকেত দেননি। তাঁর ভাষায়, 'আমি তিনটি তারিখের কথা বলেছি। ওই তিন তারিখের অর্থ সরকার পরিবর্তন নয়।' বরং, তাঁর দেওয়া ওই তারিখের সঙ্গে আদালতে চলা মামলার সম্পর্ক রয়েছে বলেও সভায় বোঝানোর চেষ্টা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন- টানা অনশনে অসুস্থ পড়ুয়া, খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কী নির্দেশ নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন চন্দ্রিমা?
টেনে আনলেন আদালতে পর্যবেক্ষণে বলা বিচারপতির মন্তব্যও। বাছা বাছা শব্দে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বললেন,'বাংলার বড় ডাকাত, ধেড়ে ইঁদুর জেলে যাবেই।' এই বড় ডাকাত বা ধেড়ে ইঁদুর ঠিক কে? তা অবশ্য প্রকাশ করতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। তবে, সোমবার তিনি বক্তব্যে নতুন মাসের উল্লেখ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে তারিখের চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে শুভেন্দুর দাবি, '১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হতে পারে। কিন্তু, ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না।' তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যা বলেন, তা-ই হয়। আজেবাজে মন্তব্য করেন না। তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়িয়ে এমনটাই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।