বাগুইআটিতে জোড়া ছাত্র খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। আগেই ক্লোজ করা হয়েছিল বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে। তাতে জনরোষ কমেনি। এরপর আরও কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, পুলিশ আধিকারিক কল্লোল ঘোষকে সাসপেন্ড করা হল।
গত ২২ অগাস্ট বাগুইআটি থেকে অপহৃত হয় অতনু দে এবং অভিষেক নস্কর৷ অভিযোগ, ওই দিন রাতেই তাদের খুন করে দুষ্কৃতীরা৷ থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল নিখোঁজ দুই ছাত্রের পরিবার। অথচ প্রায় দু' সপ্তাহ ধরে দুই ছাত্রের দেহ বসিরহাটের পুলিশ মর্গে পড়ে থাকলেও সেই খবর পায়নি বাগুইআটি থানার পুলিশ৷ শেষ পর্যন্ত, গতকাল দুই ছাত্রের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷
এর পর থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক গাফিলতির অভিযোগ সামনে আসতে থাকে৷ এই ঘটনায় এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্র চৌধুরী৷ এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া আসামীদের নাম অভিজিৎ বোস, শামিম আলি, শাহিল মোল্লা ও দীপেন্দু দাস।
আরও পড়ুন- বাগুইআটি কাণ্ডে ভীষণ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, ক্লোজড আইসি, তদন্তভার নিল সিআইডি
ঘটনায় প্রবল আলোড়ন পড়েছেয পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। জোর আন্দোলনে বিজেপি। এর মাঝেই বুধবার গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে নির্দেশ দিয়েছেন৷মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নে এ দিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আইসি-র আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল, পুলিশের সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল৷ প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, এমন কি সিআইডি-র সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল৷ আইসি-কে ক্লোজ করা হল, সিআইডি এই তদন্ত করবে৷ মুখ্যমন্ত্রী খুবই দুঃখ পেয়েছেন, তিনি অত্যন্ত বেদনার মধ্যে আছেন৷ দুটো বাচ্চা ছেলের সঙ্গে এরকম হল৷ এই দুঃখের সময় আমরা পরিবারের পাশে আছি৷ দোষীদের সবাইকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে৷ কাউকে ছাড়া হবে না৷ মুখ্যমন্ত্রী ডিজি-কে এই নির্দেশ দিয়েছেন৷'