দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ কাণ্ডের জের, নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরা-কে সাসপেন্ড করা হল। বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধে সরকারের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নতুন ওসি করা হয়েছে সঞ্জয় বিশ্বাস-কে। জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- NIA-র স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ, দত্তপুকুরে ঘটনার ছানবিন, পুলিশের সঙ্গে কথা
এ দিন তৃণমূলের ২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পুলিশের টাকা তোলা নিয়ে কড়া কথা শোনান। ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'কোনও কোনও থানার অফিসাররা নিয়ম মানছেন না, কাজ করছেন না।' এর পরেই ক্যাবিনেটের বৈঠকে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরা-কে সাসপেন্ডের কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- তাঁর গর্ব হয় কীসে? অকপট মমতা, বললেন…
জানা গিয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'কিছু কিছু পুলিশ টাকা তুলছে। বারবার সাবধান করা সত্ত্বেও এটা কেন চলছে? বেআইনি বাজি কারখানা আমি আগেই বন্ধ করতে বলেছিলাম। তার পরেও কেন চলছে এই সব কারখানা? দত্তপুকুরের ঘটনা কী করে ঘটল? ওখানকার আইসি-কে সাসপেন্ড করে দিন।'
আরও পড়ুন- একরত্তি মেয়ে কোলে জানলা দিয়ে ঝাঁপ, নিশ্চিত মৃত্যু এড়ালেও বীভৎস বিস্ফোরণে সর্বশান্ত তাজমিরারা!
রবিবার সকালে বিস্ফোরণের পর দত্তপুকুরের বাসিন্দারা পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলে। খাদিকুল কাণ্ডের পর রাজ্য সরকারের নির্দেশ মানা হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। নীলগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকাতে প্রচুর বেআইনি বাজি তৈরির কারখানা চলার অভিযোগ উঠেছে বারবার। কোথাও বাজি তৈরির আড়ালে বিস্ফোরক তৈরির কাজও চলছিল বলে অভিযোগ। পুলিশকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী কেউ অভিযোগ জানালে তাঁদেরই বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এসবের মধ্যেই দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পর রবিবারই সন্ধ্যাতেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতার নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠি-র সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সূত্রে খবর, কড়া হাতে পুলিশের গাফিলতির মোকাবিলা করতে নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভোটের আগেই গ্রেফতার অভিষেক? মারাত্মক ইঙ্গিত মমতার!