হর্ষদ মেহতার মতো মর্মান্তিক পরিণতি আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতির। ওড়িশার জেলেই মারা গেলেন চিটফান্ড সংস্থার কর্ণধার। ২০১৭ সালে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মাধ্য়মে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে আত্মসাৎ করার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুকূল। তার আগে, ২০১৫ সালে সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের এই চিটফান্ড সংস্থা বাংলা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং ত্রিপুরা থেকে কয়েক লক্ষ লগ্নিকারীর থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।
অনুকূল এবং তাঁর স্ত্রী কণিকাকে গ্রেফতার করে সিবিআই ওড়িশায় নিয়ে যায়। সেখানে ভুবনেশ্বরের ঝারপড়ার স্পেশ্যাল জেলে রাখা হয় তাঁদের। সেি মামলার শুনানি এখনও চলছে। জেলে থাকার সময়ই একাধিক বার অসুস্থ হন অনুকূল। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় বেশ কয়েকবার। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে আচমকা ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুকূল। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কয়েক মাস আগে মুক্তি পেয়েছেন স্ত্রী কণিকা। জেল কর্তৃপক্ষ ফোনে অনুকূলের মৃত্যুর খবর জানায় কণিকাকে।
কীভাবে মারা গেলেন অনুকূল সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। অনুকূলের পরিবার জানিয়েছে, সম্প্রতি কটক হাইকোর্ট থেকে জামিন পান চিটফান্ড সংস্থার কর্তা। কিন্তু জামিনের শর্ত হিসাবে বন্ডের প্রয়োজনীয় টাকা জমা করতে না পারায় মুক্তি পাননি অনুকূল। ওড়িশার ডিজি (কারা) সন্তোষ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, শনিবার রাতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় অনুকূলকে ক্যাপিটাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা মৃত্যুর কারণ হিসাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন