মনোনয়ন ঘিরে রণক্ষেত্র হয়েছে ভাঙড়। বোমা-গুলি চলেছে। ঝরেছে প্রাণ। এ জন্য একে অপরকে দুষছে আইএসএফ ও তৃণমূল। এখনও ভাঙড়ে হাড়হিম আতঙ্ক। ভোটের আগে এই অবস্থা বদলে মুখ্যমন্ত্রী বেনজির প্রস্তাব দিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। যা নিয়েই এখন বঙ্গ রাজনীতিতে জোর চর্চা।
কী প্রস্তাব দিলেন নওশাদ?
অশান্ত ভাঙড়। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন আইএসএফ বিধায়ক। তৃণমূলকেই এসবের জন্য দায়ী করেছেন তিনি। যেকোনও মূল্যে সেখানেই শান্তি ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা চালানোর দাবি করছেন নওশাদ সিদ্দিকী। বর্তমানে তাঁর কী পদক্ষেপ হতে চলছে? জবাবে সংবাদ মাধ্যমে অকপট নওশাদ।
বাঙড়ের বিধায়ক বলেন, 'আমি চাই ভাঙড়ের প্রত্যেক মানুষ নিরাপদে থাক, ভাঙড়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নিন। ভাঙড়ের শান্তির স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত। খুন, হানাহানি চাই না, ক্ষমতা দখলের জন্য রাজনীতি করতে রাজনীতিতে আসিনি। ' তবে এই প্রস্তাব একান্তই ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন- ছাত্র নেতা আনিসের দাদাকে বড় স্বীকৃতি সিপিএমের, তড়িঘড়ি কাজে নামলেন বাবা সালেম
পঞ্চায়েতের মনোনয়ন নিয়ে তুমুল হিংসার মধ্যেই ভাঙড়ে গিয়েছিলেন বিধায়ক নওশাদ। বিরোধী আইএসএফ প্রার্থী ও কর্মীদের সুরক্ষার জন্য তিনি হত্যে দিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফতরেও। এমনকী পৌঁছে গিয়েছিলেন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে কথা বলতেও। তবে সাক্ষাতের আগাম অনুমতি না থাকায় মমতা নওশাদের সঙ্গে সেদিন দেখা করেননি। বাংলার 'অভিভাবক'কে অভিযোগ জানাতে না পেরে সেদিন হতাশ হয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। কিন্তু তারপরও হিংসা থামেনি। মনোনয়নের স্ক্রুটি নিয়েই অশান্তি হয় ভাঙড়ে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ও মমতা প্রশাসনকে তুলোধনা করেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক।
এরপরই শান্তি ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীকে নওশাদের প্রস্তাব ঘিরে চাঞ্চল্য ছাড়ল।
আরও পড়ুন- নাগাড়ে বাজছে ফোন, ভোট-সন্ত্রাসের বীভৎস-সাংঘাতিক অভিযোগ রাজভবনের পিস রুমে