পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর গত ২৭ জুলাই প্রথম মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'এই তো ববি বলছিল, সকাল থেকে নাকি আমার পাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। জিজ্ঞেস করছে, বাড়ি কোথায়। আরে আমার বাড়ি তো সবাই চেনে, আয় না।' মনে করা হয়, সেদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কথাই ইঙ্গিত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রতর গ্রেফতারির পর রবিবার মুখ খুলেই কেন্দ্রকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী। দলীয় কর্মীদের কাছে জানতে চাইলেন, 'কাল যদি আমার বাড়িতে যায়, কী করবেন, রাস্তায় নামবেন তো?'
অনুব্রত ইস্যু নিয়ে বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার বেহালার ম্যান্টনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে মমতা বলেন, 'কি ভয় লাগছে? কাল যদি আমার বাড়িতে যায়, আপনারা কী করবেন? রাস্তায় নামবেন তো?' সঙ্গে সঙ্গে সমবেতভাবে 'হ্যাঁ' ধ্বনি উচ্চারিত হয়।
আরও পড়ুন- বিরোধীদের ‘সেটিং’ তত্ত্বের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মমতা, কী ব্যাখ্যা দিলেন মোদী-সাক্ষাতের?
এরপরই তৃণণূল নেত্রীর হুঙ্কার, 'আমারটা আমি একাই লড়ে নেব। কিন্তু আপনাদেরটা আপনাদের লড়ে নিতে হবে তো? যদি আমার কোনও সহকর্মীকে ইচ্ছা করে জেলে ধরে রেখে দেয়, তাহলে গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।'
আরও পড়ুন- ‘কেন কেষ্টকে গ্রেফতার?’, অনুব্রতর পাশেই মমতা
প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির জন্য সেদিনের মত এ দিনও কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কড়া তোপ দেগেছেন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। গরু পাচারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাঠগরায় তুলে মমতা বলেন, 'গরুর টাকা কোথা থেকে আসে? উত্তরপ্রদেশ থেকে কেন তুমি গরু পাঠাও বাংলা দিয়ে? বিহার থেকে কেন তুমি গরু পাঠাও বাংলা দিয়ে? আমি অনেকবার বলেছি, আমাদের বর্ডারে ঢুকতে দেব না। গরু দেখার দায়িত্ব কার? বিএসএফের। বিএসএফের মিনিস্টার কে? হোম মিনিস্টার অমিত শাহ। কয়লা কার অধীনে? কোল ইন্ডিয়ার অধীনে। যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে।'
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দিশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। বলেন, '১৬ অগস্ট খেলা হবে দিবস। ওইদিন থেকে খেলা শুরু হবে। মিছিল মিটিং, প্রতিবাদ প্রতিরোধ শুরু হবে। সবাই মানুষকে সাহায্য করবেন। চায়ের দোকানে, লোকের বাড়িতে যাবেন। বিজেপি দেখলেই বলবেন, সবচেয়ে বড় চোর কে! বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস ভাই ভাই।'