ফি মেটাতে না পারলেও পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ে চলা মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মজুমদার ও শম্পা ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশিকায় উল্লেখ, ফি-র অভাবে কোনও পড়ুয়ারপঠন-পাঠন বন্ধ করে দেওয়া, পরীক্ষার আগে অ্যাডমিট কার্ড না দেওয়া বা পরীক্ষা শেষে মার্কশিট বা সার্টিফিকেট আটকে রাখা যাবে না। পড়ুয়ার অভিভাবকদের উপর চাপ তৈরিও করা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
কোভিডকালে উপার্জনের পথ রুদ্ধ হয়েছে। বহু অভিভাবক চাকরি হারিয়েছেন। বন্ধ হয়েছে ব্যবসা। ফলে তাঁদের সন্তানদের স্কুলে আর্থিক বকেয়া বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। ফি না মেটালেই স্কুলের তরফে দেওয়া হচ্ছে হুঁশিয়ারি। পরীক্ষা বসতে না দেওয়া, মার্কশিট বা সার্টিফিকেট না দেওয়ার মতো খবর প্রায়ই শোনা যায়। প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা।
এই ধরণেরই ঘটনা ঘটেছিল অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। বকেয়া ফি মেটানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ চাপ দিচ্ছে পড়ুয়াদের উপর, তাদের পরীক্ষায় বসতে দেব না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন অভিভাবক। প্রতিবাদে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান অভিভাকরা। পরে, আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এই মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ফি মেটাতে না পারলেও পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
পাশাপাশি নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে যে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষকে আপাতত থানায় হাজিরা দিতে হবে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন