/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/mithun.jpg)
মিঠুন চক্রবর্তী
বাংলায় এসেই মমতা প্রশাসনের কার্যকরিতা নিয়ে তোপ দাগলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপি নেতার দাবি, রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। সব ক্ষেত্রে ভরে গিয়েছে দুর্নীতি। এরপরই বড় দাবি করেন 'মহাগরু'। জানান, দল ছয় মাসের জন্য তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করলে গোটা সিস্টেম তিনি বদলে দেবেন।
কী বলেছেন মিঠুন?
শুক্রবার সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, 'এ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। আইএএস, আইপিএস, স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস, যেখানেই হাত দেবেন, দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। পুরো সিস্টেমটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।কোনও ২-৪ জন নেতাকে গ্রেফতার করলে কিছু হবে না। কারণ একজন দুজনের কাজ এটা নয়। সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত।'
এমন রাজ্য ভারতের মধ্যে আর আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মিঠুন। বলেন, 'রাজ্য সরকার আদালত মানে না, প্রোটোকল মানে না। সিস্টেম মানে না। ভারতের ফেডারেল স্ট্রাকচারের বাইরে কাজ করে। তাই এই প্রশ্ন উঠছে যে এই রাজ্য কী আদৌ ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে আছে?" মিঠুনের দাবি, আমি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি। পেলে আপনাদের জানাব।'
এরপরই 'মহাগরু' মিঠুনের দাবি, 'আমায় মুখ্যমন্ত্রী করে দিলে ৬ মাসের মধ্যে গোটা সিস্টেম বদলে দেব। পশ্চিমবঙ্গ আর এই পশ্চিমবঙ্গ থাকবে না।'
মিঠুনের দাবি, 'কোনও প্রজন্মকে শেষ করতে গেলে আগে শিক্ষাকে শেষ করো। এই মুহূর্তে রাজ্যের কোনও ভবিষ্যৎ দেখতে পাই না। রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করতে গেলে পরিবর্তন করতে হবে। সেটা ঠিক করবে মানুষ। আর যদি রাজনৈতিক দল বলতে বলেন, তাহলে আমি বলব বিজেপি।'
রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা নিয়েও মিঠুন চক্রবর্তীর দাবি, 'বাংলায় যখনই কোনও ঘটনা ঘটেছে আমরা কিন্তু জেগেছি। তার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু এখন আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি। কারণ যারা প্রতিবাদের সামনে থাকেন তাদের আত্মা বিক্রি হয়ে গেছে। তাদের আত্মা মরে গেছে কি না জানি না। মরে গেলে আর জাগবে না। পড়াশুনো করা লোকেদের আবার কী আবেদন করব? তারা তো সব জেনে শুনে করছেন।'
বিজেপির 'মহাগুরু' আক্রমণ নিয়ে মিঠুনকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। কিন্তু তাঁর মতো বিশ্বাসঘাতক মানুষ নেই। এক সময় মমতাকে যিনি বোন সম্বোধন করতেন, এখন তাঁর মুখেই উলটো কথা।'