মুকুল-শুভ্রাংশুদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথাতেই তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। তাঁর বাবাকে আচমকা দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পিছনে অভিষেকের বিরুদ্ধে চক্রান্ত তত্ত্ব খাঁড়া করেছিলেন শুভ্রাংশু রায়। তবে তৃণমূল অবশ্য শুভ্রাংশু-উবাচে রাজনৈতিক গুরূত্ব আছে বলে মনে করে না। বরং কুণাল ঘোষ এদিন সাফ বলেছেন, 'মকুল রায়, শুভ্রাংশু রায়রা যদি অভিষেককে নিয়ে কোনও চক্রান্তের কথা জানতেন সেটা আগে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন বললেন না?''
ফের একবার রাজ্য রাজনীতিতে জোরদার চর্চা মুকুল রায়কে নিয়ে। সোমবার সন্ধেয় আচমকা মুকুল রায়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর চাউর হয়। যদিও পরে দেখা যায় দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছেন মুকুল রায়। এবিষয়ে তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের দাবি, ‘আমি এয়ারপোর্ট এবং থানাকে চিঠি লিখেছিলাম। জানিয়েছি, দু’জন আমাকে না জানিয়ে বাবাকে নিয়ে চলে গিয়েছেন। আমি থানার আইসি এবং এরায়পোর্টের ম্যানেজারকেও বলেছিলাম বাবাকে বিমান থেকে নামিয়ে আনতে। কিন্তু তা হয়নি।’
আরও পড়ুন- সহ্যের সীমা ছাড়াচ্ছে গরম! এসপ্তাহেই বৃষ্টির পূর্বাভাস একাধিক জেলায়
এরই পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন শুভ্রাংশু। তাঁর কথায়, ''আমার ব্যক্তিগত মত, অভিষেককে হেয় প্রতিপন্ন করতেই কোনও একটি রাজনৈতিক দল খেলায় নেমেছে। কারণ এখন নিশানা অভিষেক। তিনিই দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন- নিয়োগ কেলেঙ্কারি! আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ
যদিও শুভ্রাংশু রায়ের এই বক্তব্যে আমল দিতেই নারাজ তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, ''এই ঘটনার (মুকুল রায় নিযোখঁ হওয়া) সঙ্গে অভিষেকের নাম জড়ানোর কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।'' শুভ্রাংশু রায়ের আরও অভিযোগ তাঁর বাবাকে টাকা দিয়ে কেউ বা কারা দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ''এটা জগাখিচুড়ি একটা ব্যাপার। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।''