রাজ্যের নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফের রিসার্চ স্কলারের মৃত্যু, চূড়ান্ত চাঞ্চল্যে হুলস্থূল

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে বিএর অম্বেদকর হলে তার কক্ষের দরজা ভাঙা হয় এবং ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ পাওয়া যায়। হার্ষকুমারের মা-বাবা সকালে ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে বিএর অম্বেদকর হলে তার কক্ষের দরজা ভাঙা হয় এবং ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ পাওয়া যায়। হার্ষকুমারের মা-বাবা সকালে ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং পুলিশে খবর দেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
1752833055_1733412978_iitkharagpur

IIT খড়গপুর

আইআইটি খড়গপুরের ফের গবেষণারত পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় ছড়ালো চূড়ান্ত চাঞ্চল্য। এদিন নিজের হোস্টেল রুমেই ঝুলন্ত অবস্থায় মেধাবী ওই পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিহত পড়ুয়ার নাম হর্ষকুমার পাণ্ডে। বয়স ২৪। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত পড়ুয়া রাঁচির বাসিন্দা। দ্বিতীয় বর্ষের রিসার্চ স্কলার ছিলেন তিনি। 

Advertisment

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টো নাগাদ বি আর অম্বেদকর হলে তার রুমের দরজা ভাঙা হয় এবং ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকালেই হর্ষকুমারের মা-বাবা তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশে খবর দেন।

আইআইটি খড়গপুরের এক মুখপাত্র বলেন, “কয়েকজন কর্মচারী দরজা নক করেও কোন সাড়া পাননি। বারবার ডাকার পরও সাড়া না পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং তারা দরজা ভেঙে তার ঘরে প্রবেশ করা হয়।”

Advertisment

হর্ষকুমার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রিসার্চ স্কলার ছিলেন বলেই প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম সারির এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই নিয়ে মোট ৫ পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন। মাত্র ২ মাস আগে, চতুর্থ বর্ষের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া রিতম মণ্ডল হোস্টেল রুমেই আত্মহত্যা করেন। এরপর তিনদিনের মধ্যে মধ্যপ্রদেশের দ্বিতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।

এই মাসের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে নিযুক্ত জাতীয় টাস্ক ফোর্স ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তের জন্য জুলাই ২৮-এ সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং আর মাহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চ চার সদস্যের একটি টিম গঠন করে। বেঞ্চের পক্ষ থেকে আইআইটি খড়গপুরকে প্রশ্ন করা হয়, “ IIT খড়গপুরে কি সমস্যা? কেন শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করছে? সমস্যাগুলি নিয়ে আপনারা কী ভাবছেন?”

আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী জুলাই মাসে নতুন পড়ুয়া ভর্তি অনুষ্ঠানে পরিবারগুলিকে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং একাডেমিক চাপ কমানোর জন্য ওপর ফোকাসের উপর আলোকপাত করেন।

IIT Kharagpur