প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হলো চোরাই কাঠ। এবং কাঠের বৈধতা প্রমাণ করার সুযোগ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে নোটিশ টাঙিয়ে দিল বন দপ্তর। কারণ আপাতত তিনি পলাতক। বা নিখোঁজ।
বুধবার জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে মিলন পল্লী খোলকপাড়া এলাকার বাসিন্দা তথা পূর্ব মিলন পল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিপদ রায়ের বাড়িতে অবৈধভাবে চোরাই কাঠ বিক্রির গোপন খবর পেয়ে অভিযান চালায় বন দপ্তরের টাস্ক ফোর্স। উদ্ধার হয় দুই লক্ষাধিক টাকার কাঠ।
শিক্ষক মহাশয়ের বাড়িতে টাঙানো নোটিশ
বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত বৃহস্পতিবার জানান, "গতকাল হরিপদ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে আমরা স্কুল সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাই, কিন্তু তাঁকে খুজে পাওয়া যায় নি। আজ বাজেয়াপ্ত কাঠের বৈধতা প্রমাণ করার জন্য ৩০ দিনের সময়ের নোটিশ দিতে ফের তাঁর বাড়িতে যাই। বাড়িতে বাচ্চাদের ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় নি। প্রতিবেশীরাও কেউ নোটিশ নিতে চান নি। তাই তাঁর বাড়িতে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়।"
আরও পড়ুন: হাতির তাণ্ডবে দিশেহারা পশ্চিম মেদিনীপুর
তিনি আরো বলেন, "হরিপদ রায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে চোরাই কাঠ এনে বাড়িতে দরজা জানলা সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র বানিয়ে বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকালের অভিযানে দুই লক্ষাধিক টাকার কাঠ উদ্ধার হয়। আমরা এই নোটিশ টাঙানোর পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরকে চিঠি পাঠাচ্ছি।"
ডি আই (প্রাইমারি) মৃন্ময় ঘোষ জানান, "আমি আপনাদের কাছ থেকে অভিযোগ ও নোটিশের বিষয়টি শুনলাম। আমরা বন দপ্তরের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ামাত্র আমাদের দপ্তরের তরফ থেকে যা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেব।"