RG Kar Incident: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল IMA, বাতিল করা হল আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সদস্যপদ। আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনে উত্তাল রাজ্য। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ক্ষোভের পরিবেশ। আরজি কর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও ক্রমাগত জেরা করছে সিবিআই। এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। আসলে, আরজি কর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সদস্যপদ বাতিল করেছে IMA। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও আরজি করে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনা নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
কী বলেছেন রাষ্ট্রপতি? কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে একজন জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে তার প্রথম প্রতিক্রিয়ায়, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বুধবার বলেছিলেন, "সময় এসেছে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের "বিকৃত প্রবৃত্তি" থেকে জেগে ওঠার এবং সেই মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করার"।
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বড়সড় বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "আমি খুবই হতাশ। মহিলাদের বিরুদ্ধে এমন অপরাধ কোন ভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, "যথেষ্ট হয়েছে। কোনো সভ্য সমাজে নারীর প্রতি এমন নৃশংসতা চলতে দেওয়া যায় না। সমাজকে হতে হবে সৎ, ন্যায্য এবং নির্ভিক"।
[ Junior Doctor Protests: মমতার আবেদনেও 'প্রচ্ছন্ন হুমকি'র সুর! কী জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা? ]
কোনো সভ্য সমাজ মেয়ে-বোনের ওপর এমন নৃশংসতাকে বরদাস্ত করতে পারে না। যারা এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন তারা নারীকে 'বস্তু' হিসেবে দেখেন। ভয় থেকে মুক্তি পাওয়ার পথে যে সকল বাধা রয়েছে তা দূর করে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মুর্মু বলেন, “সমাজ নির্ভয়ার পর গত ১২ বছরে অসংখ্য ধর্ষণের সাক্ষী থেকেছে। এখন সময় এসেছে ভারতের ইতিহাসের মুখোমুখি হওয়ার। সমাজের নিজেকে কিছু কঠিন প্রশ্ন করতে হবে"। আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকে “ভয়ংকর এবং হতাশাজনক” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত এক জুনিয়র চিকিৎসক গত ৯ আগস্ট ধর্ষণের শিকার হন। এরপর জুনিয়র ডাক্তারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। চিকিৎসকের মুখে ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন মেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও তদন্তে পুলিশের গাফিলতিকে দায়ি করে এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশে চিকিৎসকরা ধর্মঘট ডেকেছেন এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের দাবিও জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কলকাতা ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে বাংলাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ চলছে।