দেশের চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল, বঙ্গ রাজনীতিকে রবিবার হর্ষ-বিষাদের দোলাচলে দুলিয়ে দিল। টিএমসির এজেন্সি উদ্বেগের আগুনে ফুঁ দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। জবাবে সেই উদ্বেগের আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাল তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার ফল পরিষ্কার হতেই নিজস্ব ভঙ্গিতে শুভেন্দু বলেন, 'দেশদ্রোহীরা হেরেছে। রাষ্ট্রবাদীরা জিতেছে। এখানেও রাষ্ট্রবাদীরাই জিতবে প্রথমে ২০২৪-এ, তারপর ২০২৬-এ। পরিষ্কার জানাচ্ছি, ২০২৬ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস এরাজ্যে ক্ষমতায় থাকবে না। এবার বাংলায় সাঁড়াশি আক্রমণ চলবে। দেখুন না, কাল থেকে কী হয়!'
তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁর দেহরক্ষী পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতেই পালটা ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'পুলিশ (কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা) যতই আমাদের ওপর অত্যাচার করবে, ততই মানুষ আমাদের দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করবে। পুলিশ যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর উৎপীড়ন চালাতে চাইবে, ততই এরাজ্যের মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।'
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'এই নির্বাচনের ফল যতটা না বিজেপির সাফল্য, তার চেয়ে বেশি কংগ্রেসের ব্যর্থতা। কংগ্রেস আর তৃণমূল কংগ্রেস এক না। ২০১৯-এই বিজেপি বুঝে গেছে বাংলায় ওদের ভোট নেই। যতই এজেন্সি করুক, ওরা এখানে কিছুই করতে পারবে না।'
সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের বক্তব্য, 'যে রাজ্যগুলোয় বিজেপি জিতেছে, সেখানে তো বিজেপি আগেও ছিল। ওরা নতুন কী করল? বরং, বলা ভালো ওরা এখন সর্বভারতীয় দলের বদলে উত্তর ভারতের পার্টি হয়ে গেল। দক্ষিণ ভারতের কোথাও ওরা নেই!'
আরও পড়ুন- চার রাজ্যে ভোটের ফল এমনটাই হওয়ার ছিল! বহু আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি
তবে তৃণমূল কংগ্রেস আর সিপিএম যাই বলুক, রাজ্য বিজেপি এই জয়ের ফলে রীতিমতো উজ্জ্বীবিত। কারণ, গোবলয়ের ছত্তিশগড়ে পাঁচ বছর পর বিজেপি ক্ষমতায় ফিরেছে। সেখানকার বাঙালিপ্রধান এলাকা বা বাঙালি টোলায় এরাজ্যের বিজেপি নেতারা গিয়ে ভোটপ্রচার চালিয়েছেন। সেই কৌশল কাজে লেগেছে বলেই গেরুয়া শিবিরের নেতাদের বিশ্বাস। রবিবার ফল পরিষ্কার হতেই ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রামন সিং ফোন করে এজন্য শুভেন্দু অধিকারীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।