সর্ষে ইলিশ, ভাপা ইলিশ, ইলিশ পাতুরিসহ ইলিশের হরেক রসনায় মাততে চলেছে আমবাঙালি। সীমান্ত পেরিয়ে অবশেষে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে বাংলাদেশের রূপালী মাছ। এবার পুজোর আগেই মিটতে চলেছে আমবাঙালির রসনাতৃপ্তি। পুজো উপলক্ষ্যে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে এল ওপার বাংলার ইলিশ। এদিন মোট ২০ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছে। পাইকেরি বিকোচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ১২০০-১৩০০ টাকা দরে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই ইলিশ মাছ কিনতে বাজারে ভিড় করেছিল খুচরো ব্যবসায়ীরা।
পদ্মার ইলিশ আমদানি করতে পেরে খুশি রাজ্যের ইলিশ আমদানিকারী সংস্থা ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মুকসুদ বলেন, "৫০০ গ্রাম থেকে ১২০০ গ্রামের ইলিশ মাছ এনেছি। পাইকেরি দর ৬০০ টাকা থেকে ১২০০-১৩০০ টাকা। পরবর্তীতে দর কমতে পারে। আগামী এক মাস ধরে মাছ আসবে বাংলাদেশ থেকে। গত বছর এসেছে ৫০০ মেট্রিক টন। এবার আসবে তার তিন গুন, ১৫০০ মেট্রিক টন।"
পদ্মার ইলিশ পাতে না পরলে রসনাতৃপ্তি যেন অধরাই থেকে যায়। পদ্মার ইলিশের জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করে বাঙালী। গত বছর পুজো উপলক্ষ্যে ইলিশ আমদানি হয়েছিল। তার আগে দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ইলিশ আমদানি বন্ধ ছিল। আনোয়ার বলেন, "পুজোর আগে পদ্মার ইলিশ আসায় আনন্দের কোনও সীমা নেই। আমরা গত ২০১২ সাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি বাংলাদেশ যাতে ইলিশের ওপর রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। বহু চেষ্টার পর গতবছর পুজোর সময় আমাদের ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ দিয়েছিল। মানুষ যে পদ্মার ইলিশ কিনতে কতটা পাগল সেটা আজকে বাজারে মানুষের ভিড় ও উৎসাহ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমাদের আশা বাংলাদেশ সরকার বাঙালির এই উৎসাহ দেখে ভবিষ্যতে ইলিশে ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেবে। মঙ্গলবার আসবে প্রায় ৩০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ।"
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দু'টি ট্রাকে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢুকেছে পদ্মার ইলিশ। আজ মঙ্গলবার থেকেই বাজারে সেই ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। হাওড়ার বাজারে ইলিশ কিনতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।