করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত বিলকে কেন্দ্র করে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে ভুরু ভুরি অভিযোগ। তাই অ্যাডভাইজরির সাহায্যে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার খরচে রাশ টানতে চায় রাজ্য সরকার। এই ইস্যুতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করল অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া বা এএইচইআই-এর প্রতিনিধি দল।
অ্যাডভাইজরিতে মূলত বলা হয়েছে যে, ওষুধের ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারকে ১০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। ছাড় না দিলেও তাঁদের বাইরে থেকে ওষুধ কেনার অনুমতি দিতে হবে। তুলো, সিরিঞ্জ, পিপিই কিটের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। গত ১ মার্চ পর্যন্ত বেড ভাড়া যা ছিল, কোভিড সংকটের পর বর্তমান সময়েও ওই একই বেড ভাড়া নিতে হবে। অর্থাৎ বেড ভাড়া বাড়ানো যাবে না।
বৈঠক 'ফলপ্রসূ' হয়েছে বলে জানিয়েছেন এএইচইআই-এর সভাপতি তথা আমরি হাসপাতালের গ্রুপ সিইও রূপক বড়ুয়া। তিনি বলেছেন, 'কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বিল হয় তা প্রাক্তন বিচারপতি তথা কমিশনের প্রধান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলা হয়েছে। দামী ওষুধ যাতে সহজে মেলে তা তিনি দেখছেন বলে জানিয়েছেন। সংকটে রাজ্যের পাশে দাঁড়িয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো কাজ চালাবে বলে সহমত পোষন করেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সংগঠন।'
প্রাক্তন বিচারপতি তথা কমিশনের প্রধান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, 'বৈঠকে মূলত করোনা চিকিৎসার জন্য বেড চার্জ ও ওষুধের খরচের উপর ছাড় দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এপ্রিলে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বেড চার্জে অদলবদল করে। আমরা ওদের আরও কয়েক মাস তা করতে নিষেধ করেছি। রোগীর বিমা না থাকলে এছাড়া, তুলো, সিরিঞ্জ, পিপিই কিটের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ছাড় দিতে বলা হয়েছে।'
করোনা রোগীর চিকিৎসায় কলকাতার ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে আগেই ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছিল। এবার অভিযোগ উঠেছে বজবজের জগন্নাথ গুপ্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এক রোগীর রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পর হাসপাতালের তরফে তাঁকে বলা হয়, এক লক্ষ টাকা দিলে রিপোর্ট চেপে রাখা হবে। ৭ দিন চিকিৎসা চলবে রোগীর। রোগীর পরিবার তা দিতে অস্বীকার করেন। পরেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করালে রোগী সুস্থও হয়ে যান। অভিযোগটি নিয়ে কমিশনের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসককে তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন