গঙ্গায় ডুব দিয়ে রেকর্ড করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন হাওড়ার যুবক। পুকুরে বা নদীতে স্নান করতে গিয়ে ডুব দেন না কে? সেই ডুব দিয়েও রেকর্ড করা যায়! এই ঘটনা বেনজির। দেশের মধ্যে এমন রেকর্ড প্রথম, এমনটাই দাবি।
Advertisment
কখনও কি কেউ গুনে দেখেছেন নদী বা পুকুরে স্নান করার সময় কতবার ডুব দিয়েছেন? যাঁরা নিয়মিত নয় তাঁরা অবশ্য স্নান করার সময়ে এক, দুই, তিন ডুবেই স্নান সেরে ফেলেন। লাগাতার ডুব দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুললেন হাওড়ার তরুণ। মুকেশ গুপ্তা ১১ হাজারেরও বেশী ডুব দিয়ে এই বিরল রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন। সময় নিয়েছেন চার ঘণ্টা দশ মিনিট।
বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ায় গঙ্গায় তেলকল ঘাটে এই রেকর্ড করেন মুকেশ। দিল্লি থেকে এসেছিলেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডের প্রতিনিধি আনন্দ বেদান্ত। ওই প্রতিনিধির উপস্থিতিতেই মাত্র ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে তিনি ১১,৫০৪টি ডুব দিয়ে রেকর্ড গড়েন।
রেকর্ড করে বেজায় খুশি মুকেশ গুপ্তা। তিনি বলেন, "নতুন নতুন রেকর্ড করার ইচ্ছা সব সময় থাকে। একটানা ডুব দেওয়ার রেকর্ড করার ইচ্ছা ছিল। সেইমতো আমি ট্রেনিংও নিয়েছি। জলে আরও নানা ধরনের রেকর্ড করার ইচ্ছে আছে।" এদিন তেলকল ঘাটের গঙ্গায় ১১ হাজারেরও বেশি ডুব দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস নাম তুলেছেন। এর আগে একটানা ডুব দিয়ে এইভাবে রেকর্ড কেউ করেননি। মুকেশের কথায়, "এই ধরনের রেকর্ড করার উদ্দেশ্য এটা তিনি বলতে পারেন পশ্চিমবঙ্গে এমন মানুষ আছে যা ভারতবর্ষে নেই।"
এই রেকর্ড করার জন্য জন্য মুকেশকে আড়াই মাসের ট্রেনিং নিতে হয়েছিল। বেশিরভাগ সময় জলে থাকতে হয়েছিল অনুশীলনের জন্য। তাঁর চেষ্টা এই রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাওয়া। এর জন্য সরকারি সাহায্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের প্রতিনিধি আনন্দ বেদান্ত জানিয়েছেন, ৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে ১১ হাজার ৫০৪টি ডুব দিয়ে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলেছে মুকেশ গুপ্তা। এদিন সকাল সাতটায় ডুব দিতে শুরু করেছিল। সোয়া ১১টা নাগাদ তিনি ডুব শেষ করেন। এই ডুব দেওয়ার রেকর্ড এটাই প্রথম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন