পোলবার পুলকার দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই হুগলীতে ফের পথদুর্ঘটনায় প্রাণ কাড়ল তৃণমূল নেতা ও তাঁর ভাইয়ের। রবিবার সন্ধ্যায় অহল্যাবাই রোডে চণ্ডীতলা থানার শিয়াখালা দেশমুখ মোড় এলাকায় ট্রলারের পিছনে ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন বারাসাত পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য (৪৮) এবং তাঁর ভাই প্রণব (৪২)। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিতৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূল সদস্যর ছেলেকে অপহরণ করলেন দলেরই বিধায়ক? চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে
ঠিক কী হয়েছিল?
রবিবার সন্ধ্যায় বারাসাত থেকে ফেরার পথে অহল্যাবাই রোডে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেলারের পেছনে প্রচন্ড স্পীডে এসে ধাক্কা মারে প্রদ্যুৎ বাবুর বোলেরো গাড়িটি। প্রচন্ড আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় দোকানদারের ছুটে আসেন । দোমড়ানো মোচড়ানো গাড়িটি থেকে প্রদ্যুৎবাবুদের বের করা হয়। গাড়িতে ড্রাইভার নিয়ে মোট তিনজন ছিলেন। প্রথমে তাঁদের তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় কাছাকাছি একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চালক দেব কুমার দে-কে সংকটজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন চণ্ডীতলার তৃণমূল নেতা সুবীর মুখার্জি। হাসপাতালে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব এবং স্থানীয় জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশীষ চক্রবর্তীও।

আরও পড়ুন: ভাঙা হল ঘর, উঠল পাঁচিল, বস্তি উচ্ছেদের আতঙ্কে কাঁপছে মোদীর শহর
জানা গিয়েছে ভাই প্রণবের ছেলের অন্নপ্রাশনের নিমন্ত্রণ করতে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে গাড়িটি। ইতিমধ্যেই চণ্ডীতলার পুলিশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেলারটিকে আটক করেছে। যদিও এখনও পলাতক ড্রাইভার। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হাইওয়ের রাস্তার ধারে রাতে বেআইনি পার্কিংয়ের অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন ধরেই। রাত দশটা পর্যন্ত কলকাতায় লরি ঢোকানোয় ‘নো এন্ট্রি’ থাকায় লরিগুলি কলকাতায় ঢোকার আগে বিভিন্ন রাস্তার ধারে বেআইনিভাবেই পার্কিং করা থাকে। ফলে প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ছোট গাড়িগুলি। চণ্ডীতলা থানা থেকে জানানো হয়েছে যে সোমবার মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্ত হয়ে গেলে পরিবারের হাতে ওই দেহগুলিকে তুলে দেওয়া হবে।