মধ্যরাতে কলকাতার এক্সাইড অঞ্চলে একদল বাইক আরোহী হেনস্থা করে শহরের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রীসহ তাঁর উবের চালককে। এই ঘটনায় রীতিমত সাড়া পড়ে যায় তিলোত্তমায়। ঘটনায় আলিপুর আদালত অভিযুক্তদের জামিন দিলেও শহরে বাইকবাহিনীর ওপর রাশ টানতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কলকাতা পুলিশ। ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে সপ্তাহের শেষে শুধু শনি-রবিবারেই আড়াই হাজার বাইকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল কলকাতা পুলিশ।
তিনজন আরোহী সমেত অথবা হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর জন্য ১২০০ টি বাইকের ওপর জরিমানা বসানো হয়েছে। কিছু বাইক আটকও করা হয়েছে। তারপর অবশ্য হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জনৈক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, "ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ৭০০ এর বেশি বাইকচালককে গ্রেফতার করা হয়েছিল"।
আরও পড়ুন, ছন্দে ফিরছে ভাটপাড়া, খুলল স্কুল
১৭ জুনের মডেল হেনস্থার ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শহরের যেসমস্ত অঞ্চল থেকে সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে, সেখানে নিয়মিত টহলদারির ব্যবস্থাও করেছে কলকাতা পুলিশ।
আরেক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "গত মঙ্গলবার থেকেই নাকাবন্দির ব্যবস্থা চালু হয়েছে, আগামী এক মাস চলবে। ২০ এবং ২১ জুন ৬০০ এর বেশি বাইকচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা হয়েছে"।
অভিনেত্রী হেনস্থাকাণ্ডে অভিযোগকারিণী তাঁর এফআইআর এ জানিয়েছেন রাত ১১.৩০ নাগাদ এক্সাইড চত্বরে বাইক নিয়ে একদল তাঁর উবের কে ধাওয়া করেন। ওই মডেলকে গাড়ি থেকে বের করে এনে উবেরচালককে হামলা করেন। গোটা ঘটনা অভিযোগকারিণী মোবাইল ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলেন। সেই মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন দুষ্কৃতীরা।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ (অন্যায় ভাবে বাধা দেওয়া), ৩২৩ (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা), ৪২৭ (অনিষ্ট করে ক্ষতি সাধন), ৩৫৪ এ (শ্লীলতাহানির জন্য নারীকে আক্রমন কিংবা অপরাধজনক বলপ্রয়োগ) , এবং ৩৪ ধারায় ওই সাতজনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।
Read the full story in English