গ্রাহকগ্রাহক সেজে বিদ্যুৎ দফতরে ছুরি নিয়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলা! বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার-সহ তিনজন কর্মীকে কুপিয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল একদল হামলাকারীদের বিরুদ্ধে। এমনকী ভাঙচুর করা হয় বিদ্যুৎ দফতরের অফিসের সমস্ত সামগ্রী। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন দামী যন্ত্রাংশ। সোমবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার পুখুরিয়া থানার পরানপুর এলাকার বিদ্যুৎ দফতরে।
বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে ঢুকে ৩০-৪০ জনের হামলাকারী দলকে বাধা দিতে এগিয়ে আসেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় তুমুল সংঘর্ষ। মুহূর্তের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছায় পুখুরিয়া থানার ওসি গৌতম চৌধুরী।
হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যায় ভাবে বিদ্যুৎ দফতর ভাঙচুর করা হয়েছে এবং কর্মীদের মারধর করা হয়েছে এই প্রতিবাদেও সোচ্চার হন স্থানীয়রা। আহত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে আড়াই ডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগরাই এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুতের সঠিক পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বিদ্যুৎ দফতরে এসেই বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন যুবক। সেই মুহূর্তেই অতর্কিতে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের উপর হামলা চালানো শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ যে, পরানপুরের বিদ্যুৎ দফতরের নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধর করা হয়। এরপরই ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় দফতরের ভিতরে। মারধর করা হয় স্টেশন ম্যানেজার শুভম সরকার (৪৫) সহ আরও দু'জন কর্মীকে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্যুৎ দপ্তরের নিরাপত্তারক্ষী এম সাহা বলেন, 'হামলাকারীদের কয়েকজনের হাতে চাকু ছিল। সেই অস্ত্র দিয়ে ওরা অতর্কিতে অফিসে জোর করে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি দফতরের তিন কর্মীকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের মারধর করা হয়। এরপরই আমাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসে এবং বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।'
এদিকে পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা।