Advertisment

সিএএ-এর সমর্থনে বক্তৃতা, বিশ্বভারতীতে আটক বিজেপি সাংসদ

বুধবারই রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শান্তিনিকেতনের এই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে টুইটে সরব হনন স্বপন দাশগুপ্ত নিজেও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
viswa bharati, swapan dasgupta

বিশ্বভারতীতে আটক স্বপন দাশগুপ্ত। ছবিসূত্র - টুইটার

নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে যখন রাজ্যজুড়ে জারি প্রতিবাদ, মিছিল, পাল্টা মিছিল, সেই আবহেই বুধবার সিএএ-এর সমর্থনে ব্যাখ্যা দিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। সাংসদের এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিশ্বভারতী চত্বরেই বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। ছাত্র-বিক্ষোভের জেরে শান্তিনিকেতনে প্রায় সাত ঘন্টা আটক রইলেন স্বপন দাশগুপ্ত, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্যরা। তবে গভীর রাতে এই বিক্ষোভ তুলে নেয় এসএফআই।

Advertisment

আরও পড়ুন: ‘ভাইপোকে বাঁচাতে দালালি করেছেন মমতা’

সিএএ নিয়ে যেভাবে অশান্ত হচ্ছে রাজ্য, সেই প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান। সেই মর্মে বুধবারই রাজ্যের ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শান্তিনিকেতনের এই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে টুইটে সরব হনন স্বপন দাশগুপ্ত নিজেও।শান্তিনিকেতনের এই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে টুইটে সরব হনন স্বপন দাশগুপ্ত নিজেও। তিনি বলেন, "কোনও রকম দ্বন্দ্ব ছাড়াই নাটক শেষ হল বিশ্বভারতীতে। প্রতিবাদকারীরা ভীষণভাবে চেয়েছিলেন দ্বন্দ্ব হোক।" প্রসঙ্গত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ "দ্য সিএএ ২০১৯: আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যান্ড ইন্টারপ্রিটেশন" বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল স্বপন দাশগুপ্ত-র।

আরও পড়ুন: ‘বাড়িতে এসে প্রশ্ন করলে তথ্য জানাবেন না’, সতর্ক করলেন মমতা

তবে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে বিজেপি সাংসদ পা রাখামাত্রই স্লোগানে স্লোগানে বিরোধিতা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের জেরে প্রেক্ষাগৃহ ঢুকতেই পারলেন না সাংসদ। অগত্যা স্বপন দাশগুপ্ত-সহ অন্যান্যদের একটি গেস্ট হাউসে রাখা হয়। সেখানেই তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। প্রায় সাত ঘন্টা তাঁদের আটক করে রাখা হয়। অভিজ্ঞতার ভয়াবহতা প্রেক্ষিতে টুইটে স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, “সিএএ-র বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আহ্বানেই এখানে একটি বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেওয়ার অপরাধে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর একটি ঘরের মধ্যে প্রায় ৭০ জন লোককে বন্দী করে রাখা হল। বন্দী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। একটি ঝামেলা যাতে তৈরি করা যায় তাঁর সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে অশান্ত শিক্ষার্থীরা।"

Read the full story in English

bjp shantiniketan Citizenship Amendment Act
Advertisment